শরীরে প্রোটিনের অভাব কীভাবে বুঝবেন?

প্রোটিন হলো পুষ্টির একটি উৎস। এটি শরীরে শক্তি দেয়। এটি পেশি তৈরিতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে বিভিন্ন সমস্যা হয়। মাছ, মাংস ইত্যাদির মধ্যে প্রোটিন থাকে।
অনেকে ওজন কমাতে খাদ্যতালিকা থেকে প্রোটিন বাদ দেয়। তবে এ ক্ষেত্রে গরু বা খাসির মাংস এড়িয়ে মাছ ও মুরগির মাংস খেতে পারেন। শরীরের উপকারের জন্য প্রায় প্রতিদিনই প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন।
জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
- শরীর ভালোভাবে প্রোটিন না পেলে পেশি দুর্বল হয়ে যায়। পেশিকে শক্তিশালী রাখার জন্য প্রোটিন খুব জরুরি।
- শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে মুখ হাত পা ফুলে যেতে পারে। শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে পানি ফ্লাস করতে পারে না। এতে এই সমস্যা হয়।
- শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হলে গাঁট ও এর আশপাশের পেশিতে ব্যথা হয়।
- প্রোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। প্রোটিনের অভাব হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এতে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়ে যায়।
- শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে প্রায়ই ক্লান্তিভাব হয়।
- প্রোটিনের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং প্রায়ই ঠান্ডা লাগার সমস্যা হয়।
- প্রোটিন অনেকক্ষণ ধরে পেটকে ভরা রাখে। প্রোটিন কম গ্রহণ করলে বারবার ক্ষুধা লাগে।
- প্রোটিন মস্তিষ্ককে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। ভালো ঘুমের জন্য যেই পরিমাণ হরমোন প্রয়োজন সে পরিমাণ বের হয় না। এতে ঘুমের অসুবিধা হয়।
- প্রোটিনের অভাব হলে যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাই যেকোনো ক্ষত নিরাময়ে দেরি হয়।
- প্রোটিন রক্তের সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। তাই প্রোটিনের অভাব হলে রক্তের সুগারের মাত্রা ওঠানামা করে।