চোখ লাল হওয়ার কারণ কী?

চোখ লাল বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪৩২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. বজলুল বারী ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেলের চক্ষু বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : লাল চোখ দেখলে আমরা ভয় পাই। ভাবি, কী হলো চোখে। একজন মানুষের চোখ লাল হয়ে যায় কেন?
উত্তর : লাল চোখ আসলে বিভিন্ন কারণে হতে পারে। সবচেয়ে বেশি লাল চোখ হয় যখন চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস যেটাকে বলি, সে জন্য হয়। দ্বিতীয় হতে পারে যে চোখে কোনো আঘাত লাগলে, এরপর যাদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, তাদের সমস্যা হতে পারে। একজন মানুষ যদি দীর্ঘ সময় না ঘুমায়, তাহলেও চোখ লাল হতে পারে। যারা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত তাদেরও হতে পারে। চোখে ঘা হলে যাকে কর্নিয়াল আলসার বলি, সেটাতে সমস্যা হতে পারে। গ্লুকোমাতে হতে পারে। ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সমস্যা হতে পারে। চোখের চাপ বেড়ে গেলে গ্লুকোমা হয়। এ কারণে হতে পারে। চোখে কোনো অস্ত্রোপচার হলে এরপরও এ রকম হতে পারে।
প্রশ্ন : চোখ লাল কর্নিয়াল আলসারেশনের কারণেও হতে পারে। এটি হয় কেন? এটা কতটা ভয়াবহ হতে পারে?
উত্তর : এটা কেবল আমাদের দেশেই নয়, সারা বিশ্বের জন্য চোখের দৃষ্টি নষ্ট করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। অন্ধত্বের একটি কারণ। এই অন্ধত্বটা এত হয়ে যায় যে চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে যায়। সাধারণত আমাদের দেশে কয়েকটি কারণ আমরা লক্ষ করি বিশেষ করে ফসল তোলার সময় যখন মাঠে কাজ করতে যান, তখন একটা ধানের পাতার বাড়ি, ধানের বাড়ি অথবা যে কোনো ফসলের আঘাত, আমরা যাকে অ্যাগ্রিকালচারাল ট্রমা বলি, এটাতে একটা আলসার হয়, এটা ফাঙ্গাস দিয়ে হয়। যাদের হয়, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করলে ভালো হয়। ওই ক্ষেত্রে প্রতিটি ঘণ্টা, প্রতিটি মিনিট গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসায় দেরি হয়ে গেলে তখন এটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এটা বুঝব কীভাবে আমরা, চোখের ব্যথা হবে, চোখের দৃষ্টি কমে যাবে, চোখ দিয়ে পানি পড়বে এবং চোখে অত্যন্ত ব্যথা হবে। চোখ সহ্য করতে পারবে না। কাজেই এই ধরনের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ভালো চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যান। সেই ক্ষেত্রে চোখ ও দৃষ্টি রক্ষা করা সম্ভব হবে।