বাড়তি ওজন কমায় পেয়ারা

পেয়ারা খেতে কার না ভালো লাগে! কেবল সুগন্ধ ছাড়াও পেয়ারার মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। একে পুষ্টির শক্তিঘরও বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, লাইকোপিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ছাড়া রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম। এগুলো শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ভারতীয় ওয়েবসাইট এনডিটিভি জানিয়েছে পেয়ারার নানা গুণের কথা।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পেয়ারা ভিটামিন-সি’র একটি বড় উৎস। কমলার থেকে চার গুণ বেশি ভিটামিন-সি এতে থাকে। ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
২. ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
পেয়ারার মধ্যে থাকা উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে লাইকোপিন। এটি প্রোস্টেট ক্যানসার ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
৩. ডায়াবেটিসবান্ধব
এর মধ্যে থাকা আঁশ এবং লো গ্লাইসেমিক উপাদান থাকার কারণে পেয়ারা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। আঁশের কারণে শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
পেয়ারা শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারা শরীরের বাজে কোলেস্টেরল কমায়। এই বাজে কোলেস্টেরল হৃদরোগ তৈরি করতে পারে। এই জাদুকরি খাদ্যটি শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
৫. কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ডায়াটারি ফাইবার। দৈনিক একটি পেয়ারা খেলে শরীরের ১২ ভাগ আঁশের চাহিদা পূরণ হয়। এটি হজমের জন্য খুবই ভালো।
৬. দৃষ্টিশক্তি ভালো করে
পেয়ারায় ভিটামিন-এ থাকার কারণে এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। পেয়ারা দৃষ্টিশক্তি ক্ষয় হওয়া রোধ তো করেই, পাশাপাশি এটি ভালো করতেও সাহায্য করে।
৭. গর্ভাবস্থায় ভালো
পেয়ারার মধ্যে আছে ফলিক এসিড। এটি গর্ভাবস্থায় শিশুর স্নায়ু পদ্ধতি বৃদ্ধির জন্য কাজ করে এবং নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৮. মানসিক চাপ কমায়
পেয়ারার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পেশি এবং স্নায়ু শিথিল হতে সাহায্য করে। গবেষকরা বলেন, সারা দিন অফিসে কঠোর পরিশ্রমের পর একটি পেয়ারা খাওয়া পেশিকে শিথিল করে, চাপ ভাব কমায় এবং শরীরে শক্তি জোগায়।
৯. মস্তিষ্কের জন্য ভালো
পেয়ারায় থাকে ভিটামিন-বি৩, ভিটামিন-বি৬। এগুলো মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল ভালো করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের স্নায়ুকে শিথিল হতে সাহায্য করে।
১০. ওজন কমাতে
আপনি কি ওজন কমাতে চান? তাহলে পেয়ারা খান। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন, আঁশ বিপাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১১. ঠান্ডার সময়
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-সি। এটি ঠান্ডা ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। শ্বাসতন্ত্রে গলা ও ফুসফুস শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করে।
১২. বার্ধক্য রোধে
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে ত্বক ভালো থাকে।