কেন কান পাকা রোগের চিকিৎসা জরুরি?

কান পাকা রোগে চিকিৎসা না করা হলে মারাত্মক জটিলতা তৈরি হতে পারে। আর সাধারণ চিকিৎসায় ভালো না হলে এর জন্য অস্ত্রোপচার করতে হয়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬২৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ফুয়াদ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। বর্তমানে তিনি হলিফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেলের নাক-কান-গলা বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : কান পাকা রোগ বেশি হলে বা সাধারণ চিকিৎসায় ভালো না হলে করণীয় কী?
উত্তর : কান পাকা রোগকে আমরা দুটো ভাগে ভাগ করি। একটি হলো সেফ ভ্যারাইটি, এটি নিরাপদ। কানের পর্দা ফুটো পানি আসবে। তবে অন্য কোনো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে না। এটা কোনো জটিলতা তৈরি করবে না। শুধুমাত্র কিছুটা বধিরতা বা কম শোনা ছাড়া। আরেক ধরনের ভ্যারাইটি আছে যেটি আনসেফ ভ্যারাইটি। এখানে কোলেস্টেটোমা বলে একটি জিনিস থাকে। এগুলো মস্তিষ্কের সমস্যার জটিলতা বাড়ায়। এটা থেকে অনেক সময় মেনিনজাইটিস পর্যন্ত হয়ে যায়। এটা অনেক সময় রোগীকে মৃত্যুর ঝুঁকির দিকে ফেলে দিতে পারে। আমরা নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের দেখেন এটা কী সেফ ভ্যারাইটি না কি আনসেফ ভ্যারাইটি।
যদি সেফ ভ্যারাইটি হয়, যদি মধ্য বয়সের হয় আমরা একটু দেখে নিই তার নাকের হাড় বাঁকা কি না। সে অনুযায়ী এর কারণ যদি আমরা ঠিক করে ফেলি, তারপর আমরা বলি আপনি পর্দা লাগিয়ে নিতে পারেন। খুব সহজ একটি অস্ত্রোপচার এটি। কানের পেছনের চামড়া নিয়ে ভেতরে পর্দা তৈরি করে দেওয়া হয়। এটা খুব সফল একটি অস্ত্রোপচার।
আর আনসেফ ভ্যারাইটি হলে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে আমরা রোগী অপশনের ওপর কখনো ছেড়ে দেব না। যেটা সেফ ভ্যারাইটি, এখানে যদি রোগী বলে যে আমি কানের পর্দা লাগতে চাই না, আমি ওষুধ খেয়ে ভালো থাকব বা আমার কান পাকলে আমি তখন ওষুধ ব্যবহার করব। তখন আমরা তাকে একটি সময় হয়তো দিই। তবে আমরা যখন দেখি কানে একটি পচা গন্ধ আসে, এখানে একটি কোলেস্টেটোমা থাকতে পারে বলে সন্দেহ করি। তখন এই কানকে আমরা অবশ্যই মাইক্রোস্কোপের নিচে পরীক্ষা করি। পরিস্থিতি খারাপ হলে আমরা রোগীকে বোঝানোর চেষ্টা করি যে তার জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে যেতে পারে।
এ ক্ষেত্রে রোগের পদ্ধতিকে সবটুকু বের করি। বের করে আমরা এমন একটি উপায় করে দিই, যেন আর তার জীবনের ঝুঁকি না থাকে, ওখানে যেন আর পুনরায় ক্ষতি করতে না পারে। এসব রোগীর প্রতিবছর একবার করে ফলোআপ করতে হয়।