ময়দার পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন এই পাঁচ খাবারে

মানুষ সুন্দরের পূজারী। তাই কী করলে সৌন্দর্য্য ধরে রাখা যায় আর কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এটি নিয়ে চিন্তায় মশগুল স্বাস্থ্য সচেতনরা। কারণ রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি মানেই অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বাড়বে। আর সেটা হলে বাড়বে ওজন, যা সুস্বাস্থ্যের অন্তরায়। সেই ভাবনা থেকেই অতি প্রক্রিয়াজাত শর্করা যেমন চিনি, ময়দা— ইত্যাদির বিরুদ্ধে একরকম যুদ্ধ ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য সচেতনরা। সে ক্ষেত্রে ময়দার পরিবর্তে কোন কোন স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিতে পারেন। তেমনই পাঁচ বিকল্প খাবারের সন্ধান দিলেন ভারতের এক বেসরকারি হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল পুষ্টিবিদ এডউইনা রাজ। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের
লাল আটা
লাল আটা গোটা গম পিষে তৈরি করা হয়। এটি পরিশোধন করা হয় না। ফলে এর ভিতরে গমের সমস্ত উপাদান অক্ষুণ্ন থাকে। থাকে ডায়েটারি ফাইবার। যা কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়াও লাল আটায় থাকে একাধিক বি ভিটামিন, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ ও ফলিক এসিড। যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। রক্তে শর্করা এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়িয়ে দেয় না।
কাঠবাদামের আটা
কাঠবাদামের আটায় গ্লুটেন থাকে না। এর পরিবর্তে থাকে স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ ও প্রোটিন। যারা খাদ্যতালিকায় শর্করা কমাতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই আটা আদর্শ। হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। খেতেও সুস্বাদু।
ওটসের আটা
এই আটা বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। বাজার থেকে কেনা ওটস মিক্সার, গ্রাইন্ডারে ঘুরিয়ে নিয়ে চেলে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ওটসের আটা। এতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। বিশেষ করে বিটা গ্লুকান, যা কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ওটসের আটা দিয়ে কাপ কেক, মাফিন ও প্যানকেক বানানো যায়।
রাগির আটা
রাগির আটা গ্লুটেন মুক্ত। এই আটায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিন সংযোজনে সাহায্য করে। এই আটা দিয়ে রুটি, পরোটা, পুরি বানানো যেতে পারে।
বেসন
ছোলার ডালের বেসনও ময়দার স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। প্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর বেসন প্রায় সকলের রান্নাঘরেই থাকে। বেসন দিয়ে চিলা, পাকোড়া, বড়া বানানো যেতে পারে। যা সম্পূর্ণভাবে গ্লুটেন মুক্ত খাবার হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।