যে পাঁচ খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখবে ডায়াবেটিস
দেশে অনেকেই ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। শহরাঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলেও এ রোগের আধিক্য রয়েছে। এই রোগটি একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি বিশ্বজুড়ে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে আসছে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে গ্লুকোজ বা চিনির মাত্রা অত্যধিক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসের ফলে চোখেও নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি জটিলতাসহ স্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার যদি ডায়াবেটিক হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাসের ওপর নজর রাখা জরুরি। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে চান তাহলে নিম্নে বর্ণিত খাবারের তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারেন।
টকজাতীয় ফল
কমলা ও লেবুর মতো টক জাতীয় ফল সতেজতা ও টক স্বাদের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, টকজাতীয় ফলে পটাসিয়াম ও ফোলেটসহ স্বাস্থ্যকর ফাইবার থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
দই
দই বিশেষ ভারতীয় উপমহাদেশের পরিবারগুলো নানা ব্যবহার করে থাকে। তা চাটনি হোক অথবা ঠাণ্ডা এক গ্লাস লাচ্ছি (ঘোল)। আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে খাদ্যতালিকায় নিশ্চিত করতে পারেন দই। স্বাভাবিকভাবেই তালিকাভুক্ত দই চিনি ছাড়া হতে হবে।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ (এইচএসপিএইচ) গবেষকদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে দই খাওয়ার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে। এছাড়াও, দই ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
চিয়া বীজ
চিয়া বীজ উচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিয়া বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করতে পারে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ও এরসঙ্গে সম্পর্কিত জটিলতাগুলো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
মিশ্র বাদাম
আপনাকে নিয়মিত কিছু মিশ্র বাদাম খেতে হবে। আমন্ড ও কাজু বাদামে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও কম গ্লাইসেমিক সূচক সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও বাদামের গুণাগুণ ডায়াবেটিক প্রদাহ, রক্তে শর্করা ও এলডিএল (কোলেস্টেরল) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, প্রতিদিন প্রায় ৩০ গ্রাম বাদাম (এক মুঠো) খাওয়া উচিত।
গোটা শস্যদানা
আপনার খাদ্যতালিকায় বার্লি ও ওটসের মতো গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এটা সত্য যে এই খাবারগুলো যথেষ্ট ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার বৃদ্ধিকে সীমাবদ্ধ করে। তাছাড়া গোটা শস্যদানা ভিটামিন বি, আয়রন ও খনিজ সমৃদ্ধ। এটি খাদ্য তালিকাকে সমৃদ্ধ করবে।