শিশুর সর্দি, কাশি, জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

ঋতুবদলের এই সময়ে শিশুদের ক্ষেত্রে সর্দি, কাশি, জ্বর হতে বেশি দেখা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৫৬তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সাইদা আনোয়ার। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের ইউনিট-প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : সাধারণত সর্দি, কাশি, জ্বর থেকে ঋতুবদলের সময় শিশুদের পরিত্রাণের উপায় কী?
উত্তর : ঋতু পরিবর্তনের সময় একটু ঠান্ডা লাগতেই পারে, যেহেতু বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম থাকে। অনেক সময় ব্রঙ্কিউলাইটিসের প্রভাব থাকতে পারে। কিন্তু এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো বাচ্চাকে একটু খোলামেলা আবহাওয়ায় রাখতে হবে। একটু আলো বাতাস পূর্ণ আবহাওয়া রাখতে হবে। সব সময় অনেক কাপড়চোপড় পরিয়ে রাখলে হবে না। এতে ঘেমে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আর পানিজাতীয় খাবার একটু বেশি খাওয়াবে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ঠিকমতো খাবারদাবার খাওয়াতে হবে।
প্রশ্ন : কী রকম খাবারদাবার খাবে?
উত্তর : ঘরে তৈরি হাড়ির খাবার খাওয়াবে। যেটা আমরা সাধারণত খাই। শাকসবজি ফল মূল, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এগুলো বাচ্চাদের দিতে হবে।
তবে এটা বারবারে খাওয়ালে চলবে না। বাচ্চারা কিন্তু খেতে অনীহা প্রকাশ করে। বাচ্চাকে প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় খাবারের জন্য চাপ দেওয়া যাবে না। এতে বাচ্চা খাবার খেতে চায় না। খাবারের ভিন্নতা এনে আগ্রহ তৈরি করতে হবে।
আর মায়েরা অনেকে বলেন যে, ‘সেরিলাক খাওয়াই’। তবে আমি মায়েদের একটি বার্তা দিতে চাই, সেরিলাক তো বাসাতেও তৈরি করা যায়। ওটা তো কমার্শিয়াল পণ্য। বাসায় যে খিচুড়ি রান্না করছি বা নুডলস রান্না করছি, সেগুলোও একধরনের সেরিলাক, সেগুলো খাওয়ানো যেতে পারে। আবার মুরগির স্যুপ যেটা, সেটাও কিন্তু একধরনের সেরিলাক। এই ধরনের সেরিলাক আমরা তৈরি করতে পারি। একটু সুজিকে সয়াবিন তেল দিয়ে ভেজে, দুধ দিয়ে, চিনি দিয়ে ফিরনি তৈরি করে দিলাম। এটাও কিন্তু একধরনের সেরিলাক।
প্রশ্ন : শিশুকে নিয়ে কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
উত্তর : যখন দেখা যায় জ্বরটা বেড়ে যাচ্ছ, তিনদিন, চারদিন পরও জ্বরটা বাড়তির দিকে, বাচ্চা টক্সিক হয়ে যাচ্ছে, বমি করছে, বাচ্চার অস্বস্তি লাগছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, ঘন ঘন শ্বাস নিচ্ছে, সেই ক্ষেত্রে আমরা বলব যেন খুব দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যায়।