চর্মরোগ স্ক্যাবিজ কেন হয়, চিকিৎসা কী

চর্মরোগ স্ক্যাবিজ অনেকের মধ্যে হতে দেখা যায়। শীতকালে এটি বেশি বাড়ে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫২৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. রাশেদ মোহাম্মদ খান। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : স্ক্যাবিজ হয় কেন?
উত্তর : একটি পরজীবী আছে। খুবই ছোঁয়াচে। এই যে সামনে শীতকাল আসবে, দেখা যাবে তার স্ক্যাবিজ হলো, কম্বল ভাগাভাগি করে একই জায়গায়, একই সঙ্গে ঘুমাচ্ছে। তার কাছ থেকে সবার কাছে এটি ছড়িয়ে যাবে। চিকিৎসাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রোগটি ভালো হয় না। একজন থেকে একজন চলতেই থাকে।
এ জন্য আমরা যখন স্ক্যাবিজ হয়, তখন বলি আশপাশে যারা আছে তাদের সবাইকে মলম লাগাবেন। বলে দিই বাসার যে গৃহপরিচারিকা আছে, তাকেও দেবেন। যারা বাচ্চাকে কোলে নিচ্ছে সেখান থেকে দেখা যায় খুব প্রচলিতভাবে বেশি হয়। ওষুধ ঠিকমতো না লাগানোর জন্য এই রোগটি সহজে ঠিকমতো ভালো হতে চায় না।
প্রশ্ন : ওষুধ লাগানোই কি যথেষ্ট? নাকি তার জীবনযাপন কাপড়, বিছানার চাদর যেগুলো ব্যবহার করা হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়?
উত্তর : ওষুধ তো লাগাবেনই পাশাপাশি পরনের কাপড়, বিছানার চাদর সব গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে।
প্রশ্ন : স্ক্যাবিজ থেকে কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে?
উত্তর : যদি চিকিৎসা কেউ ঠিকমতো না করে, যদি সেকেন্ডারি ইনফেকশন হয়ে যায়, সেখান থেকে বাচ্চাদের কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। একিউট গ্লুমেরুলো নেফ্রাইটিস হতে পারে। এ জন্য একে খুব গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা করতে হবে। প্রথমে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক দিই। এরপর অ্যান্টি স্ক্যাবিটিক দিয়ে দিই।
এর সঙ্গে আরো নতুন নতুন খাওয়ার ওষুধ আছে, যেটা খেলে সঙ্গে বিজ আরো তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। তবে আরেকটি জিনিস মনে রাখতে হবে স্ক্যাবিজ ভালো হয়ে যাওয়ার পরও কিন্তু চুলকাতে থাকে। এই জন্য দেখা যায় স্ক্যাবিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এক-দুই সপ্তাহ চুলকানি থাকে। তখন আমরা রোগীকে বলি যে অ্যান্টি হিসটামিন খেতে। এ ছাড়া সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে অ্যাক্সিমাটাইটিস হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েডও ব্যবহার করি।