Skip to main content
NTV Online

স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য
  • অ ফ A
  • ডায়েট
  • ফিটনেস
  • নারীস্বাস্থ্য
  • শিশুস্বাস্থ্য
  • প্রবীণ
  • মন
  • ভেষজ
  • স্বাস্থ্যকথা
  • রোগব্যাধি
  • প্রতিকার চাই
  • অন্যান্য
  • খাবারের গুণাগুণ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • স্বাস্থ্য
ছবি

মি. অ্যান্ড মিসেস মেসি

নিউইয়র্কে পারসা ইভানা

প্রকৃতির কোলে কৌশানী মুখার্জি

মিষ্টি হাসিতে সাবিলা নূর

মায়াবী চোখে কেয়া পায়েল

প্যারিসে রোমান্টিক মুডে মেহজাবীন-আদনান

দেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপন

‘কনকা সেরা পরিবার’ সিজন- ৩ চ্যাম্পিয়ন ঢাকার শাহিদিন-ফারহানা পরিবার

কোহলির স্বপ্নজয়ে সারথি আনুশকা!

প্রকৃতিপ্রেমী বুবলী

ভিডিও
নাটক : প্রেশারম্যান
নাটক : প্রেশারম্যান
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৫
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৫
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
দরসে হাদিস : পর্ব ৬৫৩
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
এ লগন গান শোনাবার : পর্ব ২০৫
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
টেলিফিল্ম : তোমাকেই ছুঁতে চাই
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৮
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫১
স্বাস্থ্য প্রতিদিন : পর্ব ৫৫৫১
শাশ্বতী মাথিন
১২:৪৪, ১৫ মে ২০১৬
আপডেট: ১৪:২৮, ১৫ মে ২০১৬
শাশ্বতী মাথিন
১২:৪৪, ১৫ মে ২০১৬
আপডেট: ১৪:২৮, ১৫ মে ২০১৬
আরও খবর
মহৎ পেশার মানুষ: সফল মনোচিকিৎসক হেদায়েতুল ইসলাম

মহৎ পেশার মানুষ

মানবসেবাই ডা. আবিদ হোসেনের দর্শন

শাশ্বতী মাথিন
১২:৪৪, ১৫ মে ২০১৬
আপডেট: ১৪:২৮, ১৫ মে ২০১৬
শাশ্বতী মাথিন
১২:৪৪, ১৫ মে ২০১৬
আপডেট: ১৪:২৮, ১৫ মে ২০১৬
ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লা। ছবি : শাশ্বতী মাথিন

রাজনৈতিক সংঘর্ষে মায়ের পেটে থাকা গুলিবিদ্ধ শিশুটি বাঁচতে পেরেছিল তাঁর জন্যই। ঝোপে ফেলে দেওয়া নবজাতকের নাক কুকুরে খেয়ে ফেলার পরও শিশুটি এখনো সুস্থ আছে তাঁর জন্যই। বলছি ডা. মো. আবিদ হোসেন মোল্লার কথা।

ডা. আবিদের ছোটবেলাটা ছিল বেশ সাদামাটা। গ্রামের আর দশটা সাধারণ ছেলের মতোই বেড়ে ওঠা তাঁর। বাবা ছিলেন এলাকার একজন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। সব সময়ই তিনি চাইতেন, বড় হয়ে তাঁর এই ছেলে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে। শেষ পর্যন্ত বাবার সেই ইচ্ছাই পূর্ণ হয়েছে, ছেলে ডাক্তার হয়েছে। ছেলেও মা-বাবার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েছেন। মা-বাবার নামে গ্রামে গড়ে তুলেছেন সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান আমেনা- শাহাদাৎ ফাউন্ডেশন, যার মাধ্যমে তিনি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত এবং এভাবেই কাজ করে যাওয়ার ইচ্ছা তাঁর সব সময়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

এনটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. আবিদ বলেন নিজের জীবন ও দর্শনের কথা।

গ্রামে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না

যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সন্ন্যাসগাছা গ্রামে আমার জন্ম। ভৌগোলিকভাবে জেলা শহর থেকে অনেক দূরের একটি সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চল এই এলাকা। ছোটবেলায় দেখেছি এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ।

মানুষের জন্য ভালো কোনো চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই। এলাকার মানুষ অসুস্থ হলে কিছু করার থাকত না। প্রায় ৩০ মাইল দূরের জেলা সদরে চিকিৎসার জন্য যেতে হতো এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গ্রামের গরিব মানুষের কাছে সুচিকিৎসা ছিল কঠিন ব্যাপার।

আমার বাবা ছিলেন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক। গ্রামের মানুষ যেকোনো সমস্যায়, বিশেষ করে স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যায় পড়লে বাবার কাছে আসতেন। তিনি যশোর বা খুলনার পরিচিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সেখানে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেন। এ ছাড়া বাবা তাঁদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন। এগুলো করতে করতেই বাবা হয়তো আমাকে ডাক্তার হিসেবে কল্পনা করতেন। তিনি প্রায়ই অনেককে বলতেন, ‘আমার ছেলেটা যদি ডাক্তার হতো।’

ছোটবেলায় তালপাতায় লিখেছি

ছোটবেলায় আমরা তালপাতায় লিখেছি। আমার জন্মস্থান সন্নাসগাছা। এই গ্রামের সরকারি প্রাইমারি স্কুলেই লেখাপড়া শুরু করি। স্কুলের পাঠ শুরু হয়েছিল ‘পাতার ক্লাসে’। ক্লাস ওয়ানে ওঠার আগের ক্লাস ছিল এটি। যেহেতু এই ক্লাসে তালপাতায় লেখা শেখানো হতো, তাই এই নাম।

কয়লার গুঁড়ায় পানি মিশিয়ে কালি তৈরি করা হতো আর বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম তৈরি করে তালপাতায় লেখানো হতো। লেখার পাশাপাশি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণমালা পড়ানো হতো। পাতার ক্লাস শেষ করার পর ক্লাস ওয়ানে উঠি। ওয়ানে ওঠার সময় একটি অভিষেক অনুষ্ঠান হতো, যেখানে শিক্ষকরা ছাত্রদের হাতে কলম ধরিয়ে কাগজে সৃষ্টিকর্তার নাম এবং বর্ণমালা লিখিয়ে দেবেন। আমরা কাগজে সেগুলো অনুশীলন করতাম।

অনুষ্ঠানটি খুবই মজার ছিল, আর অন্য রকম একটা অনুভূতিও ছিল। তার পর প্রাইমারি ও হাই স্কুলের গণ্ডি শেষ করে ১৯৭৩ সালে এসএসসি পাস করি এবং ১৯৭৫ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। দুটোতেই প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই।

এইচএসসি পরীক্ষা পাস করার পর মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে যদি চান্স না পাই, তাহলে যাতে একাডেমিক্যালি পিছিয়ে না পড়ি, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চাইলে বাবা বাধা দিলেন। বাবার একটাই কথা ছিল, ‘যদি ডাক্তারি পড়তে পারো পড়ো, নয়তো চুকনগর বাজারে (স্থানীয় বাজার) ব্যবসা সামলাও। ডাক্তার হওয়াই তোমার একমাত্র লক্ষ্য। এর বাইরে আর কোনো চয়েস নাই।’

এর পর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার পর আল্লাহর রহমতে এবং মা-বাবার দোয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পাই এবং ১৯৭৬ সালে এ কলেজে ভর্তি হই। আমার বাবার প্রবল বিশ্বাস ও প্রার্থনাই আমাকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনুপ্রেরণা তথা ডাক্তার বানিয়েছে।

১৯৮২-তে ডাক্তার হলাম। ইন্টার্নি শেষ করার পর ১৯৮৪ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগদান করি। ঠিক এ সময়েই ইরান সরকার বাংলাদেশ থেকে অনেক ডাক্তার নেওয়ার আগ্রহ দেখায় এবং ঢাকায় রিক্রুটমেন্ট পরীক্ষার বন্দোবস্ত করে। সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে, আমিও দিলাম, উত্তীর্ণ হলাম এবং জেনারেল এরশাদ সাহেবের আদেশে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ইরানে পাড়ি দিলাম। যেহেতু ইন্টার্নি লাইফ থেকেই শিশু-স্বাস্থ্য বেশি আগ্রহ ছিল, ইরানে গিয়েও শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাই।

খুব ভালো লাগত বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে। শিশু বিশেষজ্ঞ হওয়ার ইচ্ছাটা মনে মনে তখন থেকেই জাগতে শুরু করে। ১৯৮৪ সালে বিয়ে হওয়ার পর আমার স্ত্রীও আমার সঙ্গে ছিল ওখানে। তখন ইরাক-ইরান যুদ্ধ চলছিল। চাকরি, বেতন, সুযোগ-সুবিধা সবকিছু ভালো থাকা সত্ত্বেও শিশু বিষয়ে উচ্চশিক্ষার তেমন কোনো সুবিধা না থাকায় মাত্র দুই বছর চার মাসের মাথায় ১৯৮৭ সালে দেশে ফিরে আসি এবং এফসিপিএস প্রথম পর্ব পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। দেশে তখন অষ্টম বিসিএস পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত জমা হচ্ছিল, আমিও আবেদন জমা দিলাম।

এফসিপিএস ও বিসিএস—দুই পরীক্ষার প্রস্তুতি পাশাপাশি চলতে থাকল। ১৯৮৮-এর জানুয়ারিতে প্রথম চান্সেই এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করলাম এবং ধারাবাহিকভাবে বিসিএস পরীক্ষায় সব কয়টি ধাপ উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৯ সালে পুনরায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেলাম। আল্লাহর অশেষ রহমতে ১৯৯২ সালের জানুয়ারিতে প্রথম চান্সেই এফসিপিএস পাস করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিশু বিভাগে কাজ শুরু করি এবং এই বিদ্যাপীঠে ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে পেশাগত জীবনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমার বিচরণ করার সৌভাগ্য হয়েছে।

পেশাগত জীবনে আমি অধ্যাপক এম আর খান, অধ্যাপক এম কিউ কে তালুকদার, অধ্যাপক মালেকা খাতুন, অধ্যাপক নাজমুন নাহার—উনাদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শিশু স্বাস্থ্যের ওপরে নিবিড় প্রশিক্ষণ লাভ করি।

জীবনে অনেক প্রাপ্তি থাকলেও একটা অতৃপ্তি সব সময়ই আমাকে বিচলিত করে, আমার বাবার মনের ইচ্ছার প্রতিফলন আমার মাধ্যমে হলেও তিনি তা দেখে যেতে পারেননি। অল্প বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।

চড়াই-উতরাই তেমন নেই জীবনে

আমার গ্রামের বাড়িতে মানুষের সেবার জন্য মা-বাবার নামে আমি একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছি। আমার মা-বাবার স্মরণে এর নাম রেখেছি আমেনা-শাহাদাৎ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন এলাকার শিক্ষাবিস্তারে সহায়তা প্রদান করে।

এ ছাড়া কেবশপুর এলাকার দরিদ্র, দুস্থ ও অসচ্ছল জনগণের সুচিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। আমার জীবনে তেমন কেনো চড়াই-উতরাই নেই। সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমি। আমার স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে আমি খুবই সুখী, ওরা আমাকে খুবই ভালোবাসে। আমার উত্থানের পথে আমার স্ত্রীর অনেক অবদান। মানুষ অনেক ভালোবাসত আমার মা-বাবাকে। হয়তো তাঁদের দোয়াতেই আজ আমি এ অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমার বাবার ইচ্ছাই আমার জীবনে পূর্ণ হয়েছে।

শিশু বিষয়ে কিছু বইপত্র প্রকাশ করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। আমার লেখা দুটি বই মেডিকেল পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জনসচেতনতামূলক কিছু বই ও প্রায় ১০০টি বিভিন্ন ধরনের গবেষণালব্ধ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

চিকিৎসাজীবনে শ্রেষ্ঠ ঘটনা

আমার সুদীর্ঘ চিকিৎসাজীবনের অনেক ঘটনা মনে দাগ কাটলেও গত বছরের দুটি ঘটনা আমার জীবনের অন্যতম পাওয়া। গত বছর ২০১৫ সালের জুলাই মাসে মাগুরায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়াকে বাঁচাতে পারার ঘটনা এর মধ্যে একটি। মায়ের পেটে থাকার সময় গুলিবিদ্ধ হয় শিশু সুরাইয়া। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। শিশুটির ডান হাতের আঙুল উপড়ে যায়, চোখে আঘাত লাগে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের স্পেশাল কেয়ার বেবি ইউনিটে তাকে সেবা দেয় ১০ থেকে ১২ জনের একটি চিকিৎসক দল, যার নেতৃত্বে ছিলাম আমি।

আমরা শিশুটিকে সুস্থ করতে তুলতে পেরেছিলাম। এটি একটি অনেক বড় পাওয়া। এটা আমার জীবনের একটি বিরল ঘটনা এবং অভিজ্ঞতা।

এর পর মনে পড়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরে শিশু ফাইজাকে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনা। জন্মের পরপর মা-বাবা অথবা অন্য কেউ সিমেন্টের বস্তায় ভরে ঢাকার পুরোনো এয়ারপোর্টের পাশের একটি ঝোপে ফেলে গিয়েছিল এই শিশুটিকে। এরপর কুকুরের দল বস্তার ভেতর থেকে বের করে শিশুটির ঠোঁট ও নাকের অনেকটা অংশ খেয়ে ফেলে; বাঁ হাতের দুটি আঙুলের ডগাও খেয়ে ফেলে। এ ঘটনার পরপর কয়েজন মিলে শিশুটিকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে নিয়ে আসে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আমার নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিমের তত্ত্বাবধানে আমরা শিশুটিকে সুস্থ করতে তুলতে পেরেছিলাম। এটিও একটি বড় পাওয়া। এটা আমার জীবনের একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা ছিল। শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়।

আরো কাজ করতে চাই

সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমি একজন সফল মানুষ। তবে মানুষের জন্য আরো অনেক ভালো কাজ করতে চাই। শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম আর খান স্যার আমাকে একটি কথা বলেছিলেন, ‘যে মাটি তোমাকে বড় করেছে, তার ঋণ শোধ করো।’ এই কথাটা আমার বারবার মনে পড়ে। আমার ফাউন্ডেশনে আমি আল্লাহর রহমতে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ চালাই। প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে আমি গ্রামে যাই। বৃহস্পতি ও শুক্রবার রোগী দেখি দিনভর।

আমি সব সময় আমার চেয়ে যাঁরা খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তাঁদের দিকে তাকাই। এতে কখনো নিজেকে অসহায় মনে হয় না। নিজের মধ্যে সব সময় একটি সন্তুষ্টি বোধ রাখার চেষ্টা করি। আমার স্ত্রী সৈয়দ আমেনা মেহের। তিনি ১৯৮৮ সালে অর্থনীতিতে এমএ পাস করেন। পরিবারের দেখাশোনার জন্য তিনি অনেক ত্যাগ করেছেন। চাকরি করেননি আমাদের কথা ভেবে।

আমার দুই ছেলেমেয়ে। ছেলে আসিফ ইকবাল এমবিএ করেছে। সে এখন কোহিনূর কেমিক্যালের মার্কেটিং বিভাগে কাজ করছে। মেয়ে নাবিলা তাবাসসুম এমবিবিএস পাস করেছে। শিশুদের নিয়েই কাজ করার আগ্রহ তার। আমার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে অনেক ভালোবাসে, অনেক শ্রদ্ধা করে এবং আমিও ওদের অনেক ভালোবাসি, অনেক স্নেহ করি।

রোগীদের ভালোবেসে সেবা দিতে হবে

নতুন যারা এ পেশায় আসছে, তাদের জন্য বলব, আসলে সিমপ্যাথি নয়, এমপ্যাথি দিয়ে রোগী দেখতে হবে। মানুষের কষ্টকে লাঘব করতে কাজ করতে হবে। ভাবতে হবে, আমি রোগী হলে ডাক্তারের কাছে আমি কী আশা করতাম। রোগীকে ভালোবেসে চিকিৎসা দিতে হবে। মানুষের যদি কোনো উপকার নাও করতে পারি, আমার ব্যবহারে, আমার কর্মে তাঁর যেন কোনো অপকার না হয়। একটু ভালো ব্যবহার, মানুষের দিনটাকে অন্যরকম করে দিতে পারে।

‘মানবসেবা’ এটাই আমার জীবনের দর্শন। আমি মনে করি, প্রত্যেক মানুষ যাঁর যাঁর পেশা থেকে মানবসেবা করতে পারেন। মানুষকে না ঠকিয়ে, নিজের কাজের প্রতি সৎ থেকেই এটা করা যায়। এর জন্য দল গঠনের কোনো প্রয়োজন হয় না।

মানুষকে গালি না দেওয়া, তাঁকে কুবুদ্ধি না দেওয়া, মানুষকে ফাঁকি না দেওয়া, কাজে ফাঁকি না দেওয়া, মানুষকে না ঠকানোই আমার কাছে উত্তম মানবসেবা।

মহৎ পেশার মানুষ

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. ৫০০ টাকায় শুরু করা কপিল শর্মা এখন শো প্রতি নেন ৫ কোটি
  2. ঝিমিয়ে পড়ল আমিরের ‘সিতারে জমিন পার’, আয় কমে কত?
  3. সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’
  4. বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত
  5. ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?
  6. করণ জোহরের শো থেকে বাদ পড়লেন চার প্রতিযোগী
সর্বাধিক পঠিত

৫০০ টাকায় শুরু করা কপিল শর্মা এখন শো প্রতি নেন ৫ কোটি

ঝিমিয়ে পড়ল আমিরের ‘সিতারে জমিন পার’, আয় কমে কত?

সিনেমার বাজেট ৯০ কোটি, তিন দিনে ৬০ কোটির ঘরে ‘সিতারে জমিন পার’

বক্স অফিসে ঘুরে দাঁড়াল আমির খান, দ্বিতীয় দিনে বাজিমাত

ফের বক্স অফিসে ব্যর্থ হচ্ছেন আমির খান?

ভিডিও
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৬৩
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৬৩
ছাত্রাবাঁশ : পর্ব ১৭
আলোকপাত : পর্ব ৭৭৮
গানের বাজার, পর্ব ২৩৭
রাতের আড্ডা : পর্ব ০৮
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
পবিত্র হজ্ব ২০২৫ (সরাসরি)
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০২
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
কোরআন অন্বেষা : পর্ব ১৮২
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
জোনাকির আলো : পর্ব ১২৮
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)
ছুটির দিনের গান : পর্ব ৪১৫ (সরাসরি)

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x
ইউনিজয়
ফনেটিক
English

By using this site you agree to our Privacy Policy