ছেলেদের চুল পড়ার মূল কারণ কী?

চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়েরই চুল পড়ে। তবে মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়লে এবং বিষয়টি টাকের পর্যায়ে চলে গেলে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২৩৭৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. মো. রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি অরোরা স্কিন অ্যান্ড এনস্টেটিকস সেন্টারের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : চুল তো সবারই পড়ে, তবে চুল পড়াকে রোগের পর্যায়ে কখন বলব?
উত্তর : রোগের পর্যায় তখনই পড়ে, যখন চুল অতিরিক্ত মাত্রায় পড়ে যায়। প্রতিদিন ৫০ থেকে একশর ওপরে চুল পড়তে থাকে। অর্থাৎ যদি গোনা যায় সারা দিনে দেখা যাবে, একশটার বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে। তখনই এটি রোগের পর্যায়ে চলে গেল। তা ছাড়া ছেলেদের জন্য বিশেষ একটি পর্যায় আছে, বয়স। এই বয়সটা হলো, সাধারণত বিশের কয়েক বছর আগে বা কিছু পরে। এই সময় চুল পড়া বেশি দেখা দেয়। যেটাকে বলে টাক পড়া, এটি আমরা সাধারণত এই সময়ে দেখি। এটি যখন হতে থাকে, তখন একশটার বেশি চুল পড়ে। বিশেষ জায়গা আছে চুল পড়ার। সামনের দিকে বেশি পড়ে। দুই পাশ থেকে প্রথমে পড়তে থাকে এবং মাথার উপরিভাগে সেটি হয়।
যখন মাথায় চুল অতিরিক্ত পড়তে থাকে ছেলেদের। এর পরিমাণ হচ্ছে ৫০ থেকে একশটার বেশি যখন পড়া আরম্ভ করে তখনই ধরে নিতে হবে, এটা রোগের পর্যায়ে চলে গেছে। সাধারণত ছেলেদের দিকে সামনের দিকে চুল পড়তে থাকে। দুই পাশ থেকে পড়ে যায় এবং মাথার উপরিভাগেও চুল পড়তে থাকে। তখনই বুঝতে হবে যে এটা টাকের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এবং বয়সটা সাধারণত দেখা যায় ২০ বছরের আশপাশে। ২০ বছরের কয়েক বছর আগেও হতে পারে, পরেও হতে পারে। এই জিনিসটা যখন শুরু হয়, তখনই বুঝতে হবে এটি টাকের পর্যায়ে চলে গেছে। ২০ বছরের আশপাশেই যে পড়ে তা নয়, ৩০ বছরের পরেও পড়ে। ত্রিশের পরে কারো কারো পড়া শুরু করে এবং আস্তে আস্তে টাক পড়তে থাকে। তবে ২০ বছরে যেটা হয়, সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় হতে থাকে। ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সে টাক প্রকাশ পায়।
প্রশ্ন : চুল পড়ার পেছনের কারণগুলো কী?
উত্তর : চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেশিয়া। এন্ড্রো মানে হলো হরমোন। আর জেনেটিক মানে হলো বংশগত। সুতরাং অনেক সময় হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। আর বংশগত কারণে হয়। যাদের টাক পড়ে, প্রায়ই দেখা যায়, তার বংশের কারো না কারো টাক আছে। আবার যে বয়সটা বললাম, সেই বয়সে হরমোন এন্ড্রোজেন বেশি মাত্রায় প্রকাশ পায়। যার জন্য এই টাক পড়া শুরু হয়। মূলত হরমোন ও বংশগত কারণের জন্য চুল পড়ে। তা ছাড়া এই দুটো কারণ ছাড়াও অজ্ঞাত কারণেও টাক পড়ে থাকে।