প্রসাধনীর যত ভিটামিন!
বর্তমানে সাবান, শ্যাম্পু; এমনকি কাজলেও ভিটামিন আছে এমন বলা হয়। কিন্তু প্রসাধনীর কোনটায় কোন ভিটামিন থাকা দরকার এবং কেন দরকার, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
ভিটামিন-এ
যেসব প্রসাধনীতে ‘রেটিন এ’ থাকে, সেগুলো ত্বকের জন্য ভালো। বয়সজনিত দাগ দূর করতে ও ত্বক টানটান রাখতে রেটিনের জুড়ি নেই। কিন্তু এ কথা মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ভিটামিনের কোনো প্রয়োজন নেই।
ভিটামিন বি
ভিটামিন-বি৩ বা নায়াসিন এশিয়ার অধিবাসীদের ত্বকের জন্য দরকারি। ত্বকের রং উজ্জ্বল রাখতে নায়াসিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভিটামিন-বি৫ চুল উজ্জ্বল, নরম ও সুন্দর রাখে।
ভিটামিন-সি
ভিটামিন-সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি র্যাডিকেল ড্যামেজ হওয়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ প্রসাধনী সব সময় আলো থেকে দূরে রাখবেন। কেননা আলোতে ভিটামিন-সি কার্যকারিতা হারায়।
ভিটামিন-ডি
ভিটামিন-ডি সোরিয়াসিস রোগে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্বাভাবিক ত্বকে কীভাবে কাজ করে—এ সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।
ভিটামিন-ই
ভিটামিন-ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। সুন্দর ত্বকের জন্য এই ভিটামিন জরুরি। কিন্তু কোনো প্রসাধনে তার পরিমাণ শতকরা ৫ ভাগ হতে হবে।
ভিটামিন-এফ
লিনোলিক এসিডকে ভিটামিন-এফ বলা হয়। ত্বক কোমল রাখতে ভিটামিন-এফ সাহায্য করে।
ভিটামিন-এইচ
বায়োটিনকে ভিটামিন-এইচ বলে। এর অভাবে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে পড়ে, চুল ও নখেরও ক্ষতি হয়। কিন্তু সরাসরি বায়োটিন ব্যবহারের ব্যাপারে এখনো গবেষণা চলছে।
ভিটামিন-কে
ভিটামিন-কে ব্যথা পাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
লেখিকা : সহযোগী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।