যেসব ব্যথা এড়িয়ে যাবেন না
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথার মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। তবে প্রায়ই আমরা এই সংকেতকে এড়িয়ে যাই। কখনো কখনো নিজেকে সন্তুষ্ট রাখি সবকিছু ভালো আছে, এই বলে। অনেকেই রোগ খুব জটিল না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকের কাছেও যান না।
ব্যথা হওয়া মানে শরীরে কোনো সমস্যা হয়েছে। শরীরে কিছু কিছু অংশের ব্যথা একদমই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এগুলো পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এতে ভুগতেও হয় বেশ।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ফ্যামিলি হেলথ ফ্রিডম নেটওয়ার্ক জানিয়েছে কিছু ব্যথার কথা, যেগুলো কখনোই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
হৃৎপিণ্ড
হৃৎপিণ্ডের সমস্যা হলে বুকে ব্যথা হয়। ব্যথা বাঁ পাশের হাত ও হাতের নিচে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ধরনের ব্যথা এড়িয়ে যাবেন না। এ রকম হলে অবশ্যই সচেতন হোন। নয়তো পরে ভুগতে হতে পারে।
ফুসফুস
সাধারণত ফুসফুসের সমস্যা শুরু হয় ঘাড় ও কাঁধে ব্যথার মধ্য দিয়ে। অনেক সময় অঙ্গবিন্যাসের অসুবিধার কারণে এসব জায়গায় ব্যথা হয়। তবে ফুসফুসের সমস্যার একটি বড় লক্ষণও কিন্তু এটি। তাই এই ব্যথাকে এড়াবেন না।
লিভার ও পিত্তথলি
ঘাড়ে ব্যথা ও ওপরের কাঁধে ব্যথা সাধারণত দুই ধরনের অঙ্গের সমস্যা নির্দেশ করে। এই ব্যথা যদি প্রায়ই করতে থাকে, তবে লিভার ও পিত্তথলির সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি ফুসফুসেরও লক্ষণও এটি।
পাকস্থলী
পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের সমস্যা হলে পেট ও পিঠের নিচে ব্যথা করতে পারে। ৫০ শতাংশ লোকের ক্রনিক প্যানক্রিয়াটিটস হলে পেছনে ব্যথা হয়।
ক্ষুদ্রান্ত্র
আপনার যদি ক্ষুদ্রান্ত্রে কোনো সমস্যা হয়, তাহলে পেটে ব্যথা হবে। এ ধরনের ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অন্ত্র ও অ্যাপেনডিক্স
অ্যাপেনডিক্সের ব্যথা হলে তলপেটের পুরো ডান অংশে ব্যথা হয়। তলপেটের মাঝামাঝি ব্যথা কোলন ও রেকটামের সমস্যা নির্দেশ করে। এই ব্যথাগুলো হলে কখনোই এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এমন হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
কিডনি
কিডনির সমস্যা সাধারণত নির্ণয় করা কঠিন। কারণ, এতে অনেক জায়গায় ব্যথা হতে পারে। যেমন—কোমর, পেটের নিচে, শ্রোণি ইত্যাদি অংশে। এসব অংশের ব্যথা হলে সতর্ক হোন।
মূত্রথলি
মূত্রথলির সমস্যা হলে শ্রোণিতে ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সামনে ও ভেতরে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া জরায়ুর প্রদাহে পেটের দুপাশেই ব্যথা হয়। এসব জায়গায় ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।