একটি ভালো দিনের জন্য বা সারা দিন ভালোভাবে কাজ করার জন্য সকালটা সুন্দরভাবে শুরু করা জরুরি। আর একটি সফল পেশাজীবন তৈরির জন্য সকালবেলা কিছু অভ্যাস চর্চার মধ্যে নিয়ে আসা প্রয়োজন।

গবেষণায় বলা হয়, ঘুম থেকে দেরি করে যাঁরা ওঠেন, তাঁদের তুলনায় যাঁরা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, তাঁদের মস্তিষ্ক বেশি তীক্ষ্ণ হয়। সকালের ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠলে শরীর ও মন ভালো থাকে। এ ছাড়া কাজ করার জন্য একটু বেশি সময় পাওয়া যায়।

জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে সফল পেশাজীবন তৈরির জন্য সকালবেলার পাঁচটি অভ্যাসের কথা।

১. ঘুম থেকে উঠুন তাড়াতাড়ি

বিশ্বের অনেক প্রভাবশালী ও সফল নেতা সকালে দ্রুত ঘুম থেকে ওঠাকে পছন্দ করতেন। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন বেশ চাঙ্গা থাকে। তবে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার মানে এই নয় যে সকাল ৭টার সময় ঘুম থেকে উঠবেন। সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা মানে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে ওঠা।

২. প্রকৃতির কাছে যান

ঘুম থেকে উঠে কিছু ব্যায়াম করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা—এ রকম কাজ করতে পারেন। সূর্যের আলো আর প্রকৃতির সতেজ বাতাসে গেলে এমনিই মনে এক ধরনের প্রফুল্ল অনুভূতি হবে। এতে সারা দিনের জন্য শারীরিক ও মানসিক শক্তি অর্জন করে নিতে পারবেন। মানসিক ও শারীরিকভাবে সতেজ থাকলে এর প্রভাব আপনার কাজে পড়বে।

৩.শান্ত ও শিথিল থাকা

সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার জন্য অনেক সময় পাওয়া যায়। মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন এই সময়। এতে স্নায়ু শান্ত ও শিথিল থাকবে। কাজের প্রতি মনোযোগও বাড়বে।

এ ছাড়া সারা দিন কীভাবে কাজ করবেন, তার একটি তালিকা তৈরি করে ফেলতে পারেন। এটি কেবল পরিকল্পনা করতেই্ সাহায্য করবে না। এতে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোও আপনার মনে থাকবে।

৪. সকালের নাশতা বাদ নয়

কাজে ভালো করার জন্য শরীরকে ভালো রাখা জরুরি। সারা দিন না খেয়ে কেবল কাজই করে গেলে একসময় এর চাপ পড়বে শরীরের উপর। এতে কাজ আরো খারাপ হয়ে যাবে। শরীরকে সুস্থ রাখতে সকালের নাশতা খাওয়া অবশ্যই জরুরি। এটি মস্তিষ্ককে ভালো রাখতে সাহায্য করবে, কাজে উদ্যম জোগাবে।

৫. কী ঘটছে বিশ্বে

সারা বিশ্বে কী হচ্ছে, এর খোঁজখবর রাখতে সকালে খবরের কাগজ বা অনলাইন পোর্টাল পড়ুন অথবা টিভিতে নিউজ বুলেটিন দেখুন। অন্তত আধা ঘণ্টা এই কাজ করুন। এসব তথ্য আপনার পেশাকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। আর বর্তমান সময়ের অবস্থাও আপনার জানা থাকবে।