হুপিং কাশির টিকার কার্যকারিতা কমছে

যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য তৈরি হুপিং কাশি রোগের টিকার কার্যকারিতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা এই তথ্য জানিয়েছেন। কম বয়সেই শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতায় এই টিকা দেওয়া হয়ে থাকে।
হুপিং কাশির টিকা ‘টিড্যাপ’-এর ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যাকসিন স্টাডি সেন্টারের গবেষকরা। এতে নেতৃত্বে দেন ওই প্রতিষ্ঠানের গবেষক নিকোলা ক্লেইন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নিবন্ধ চিকিৎসা সাময়িকী পেডিয়াট্রিকসে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা বলেন, দীর্ঘ সময়ে টিড্যাপের কর্মক্ষমতা জানতেই গবেষণা চলে।
জানা গেছে, ১৯৪০ সালে প্রথম হুপিং কাশির টিকা দেওয়া হয়। এর পর থেকে হুপিং কাশি দমনে এই টিকা বেশ কার্যকর বলেই প্রমাণিত হয়েছে। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। টিকার কারণে প্রচণ্ড জ্বর হতে পারে।
সাধারণত শিশুদের পাঁচটি ধাপে টিড্যাপ দেওয়া হয়। এর সফলতার হার ছিল ৮০ শতাংশ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে টিড্যাপ আসে। ২০১১ সালে ১১ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য আসে টিড্যাপ। ২০১১ সালেই ক্যালিফোর্নিয়ায় টিড্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
২০০৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চিকিৎসার তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা। তাঁরা টিকার পরও এক হাজার ২০০ শিশুর মধ্যে হুপিং কাশির খোঁজ পান। এর মধ্যে ২০১০ ও ২০১৪ সালে এটি মারাত্মক আকারে দেখা যায়। শুরুর দিকে ট্যাপের কার্যক্ষমতা ছিল ৬৯ শতাংশ। দুই বছর পরে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭। বর্তমানে এটি ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।