দ্রুত ওজন কমাতে ডিটক্স পানীয়
কীভাবে দ্রুত ওজন কমাব? ইদানীং আমাদের অধিকাংশের মধ্যে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে এ নিয়ে। বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী উপায় আছে ওজন কমানোর। অতিরিক্ত চর্বি থেকে পরিত্রাণের জন্য সহজ পদ্ধতি খুঁজছেন? তাহলে এই ডিট্ক্স পানীয় গ্রহণ করুন, ভালো ফল পাবেন।
ডিট্ক্স পানীয় কী? ডিট্ক্স আপনার শরীর থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, টক্সিন ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। দেহের অভ্যন্তরীণ বিষাক্ততা কাটানোর জন্য মাঝেমধ্যে সবারই উচিত শরীরটাকে ডিটক্সিফাই করা।
শরীর ফিট রাখার জন্যও ডিটক্সিফাই সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। শরীরকে ডিটক্সিফাই করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ডায়েট, পাশাপাশি ব্যায়াম। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে প্রচুর পানীয় পান করতে হবে। এ সময় পানির পাশাপাশি ঠান্ডা দুধ, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, দইয়ের ঘোল জাতীয় পানীয় গ্রহণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রচুর রসালো ফল খেতে হবে, যেমন—তরমুজ, বাঙ্গি, ডাব, শসা, পেঁপে, লেবু, মালটা ইত্যাদি।
সকালের নাশতার সঙ্গে এই পানীয় গ্রহণ করুন, ফলে আপনার শরীরের বিপাকক্রিয়া আরো সক্রিয় থাকবে এবং সারা দিনের ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরো সহজতর হবে।
এই রেসিপি থেকে আপনি উপকৃত হবেন। সুতরাং, আর দেরি না করে শুরু করুন :
জাম্বুরার ডিটক্স পানীয়
উপকরণ
- পানি দুই লিটার
- জাম্বুরা ছয় স্লাইস
- এক স্লাইস কমলা
- দুই পিস পুদিনাপাতা
- বরফ কুচি
পদ্ধতি
সব উপকরণ সঠিকভাবে খোসা ছাড়িয়ে, পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরা করে দুই লিটার পানিতে মিশিয়ে দিন। এভাবে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর পানি ছেঁকে নিয়ে সারা দিনে একটু একটু করে পান করুন।
তরমুজ স্মুদি
উপকরণ
- ছয় কাপ ছোট করে কাটা এবং বিচি ছাড়া তরমুজ
- এক কাপ লেবুর রস
- ১২টি আইস কিউব
পদ্ধতি
অর্ধেক তরমুজ নিয়ে ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না স্মুথ হয়, আবার আইস কিউব ও লেবুর রস দিন আবার ব্লেন্ড করুন। ব্যস, হয়ে গেল আপনার তরমুজের স্মুদি। এটা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পরের দিনও খেতে পারবেন।
এটা ক্যালরি অনেক কম, চর্বি কমাতে খুবই কার্যকর এবং ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সাহায্য করার জন্য কাজ করে।
পেটের মেদ কমাতে ডিটক্স পানীয় :
- ছয় কাপ ফিল্টার করা পানি
- এক টেবিল চামচ আদা কুচি
- একটি শসা স্লাইস করা
- একটি লেবু গোল করে স্লাইস করা
- ১০টি পুদিনাপাতার স্টিক
পদ্ধতি
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন, পরের দিন সকালে ছেঁকে সারা দিন অল্প অল্প করে পান করুন। এটা আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।
শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি এই পানীয় গ্রহণে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। তবে দীর্ঘদিন ধরে একই পানীয় গ্রহণ করবেন না, মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করবেন। আবার পাঁচ থেকে সাত দিন অন্তর অন্তর বিরতি দেবেন। পরিবর্তন আপনি নিজেই খেয়াল করবেন। তবে যেকোনো পানীয় গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং শরীরের অবস্থা বুঝে খান।