শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধের উপায় কী?

ফাস্টফুডের দিকে ঝোঁক, খেলাধুলা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খাওয়া ইত্যাদি শিশুদের মুটিয়ে যাওয়ার কারণ।
শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৯৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. শাকিল মাহমুদ। বর্তমানে তিনি গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেলের বায়োকেমিস্ট্রি ও পুষ্টি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শিশুদের, না কি বড়দের- মুটিয়ে গেলে কাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে?
উত্তর : আসলে ঝুঁকিটা শিশুদের ক্ষেত্রেই বেশি হবে। শিশুরা যদি আগে থেকে অসুস্থ হয়ে যায়, তাহলে সৃজনশীলতা কমবে, রেজাল্ট খারাপ হবে। শিশুবেলায় যদি স্থূলতা বাড়ে, তাহলে তার স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেকগুণ বাড়বে।
প্রশ্ন : শিশুদের বেলায় স্থূলতা দেখা দিলে রোধ করার জন্য করণীয় কী?
উত্তর : একজন শিশুর যদি মা-বাবা দুজনই স্থূল হয়, তাহলে শিশুর স্থূল হওয়ার আশঙ্কা অনেক। সুতরাং এটি আসলে শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। সন্তান যখন স্কুলে যাবে, বড় হতে থাকবে তার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুব জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, বাবা-মা দুজনেই চাকরি করে, গৃহ পরিচারিকার হাতে বাচ্চা বড় হচ্ছে। সে চিপস কিনে দিচ্ছে, জুস কিনে দিচ্ছে। পরিবার থেকে ভারসাম্যপূর্ণ খাবারটা পাচ্ছে না। ভারসাম্যপূর্ণ খাবার পরিবার থেকে না পেলে ওজন বাড়তেই থাকবে।
প্রশ্ন : ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মানে কী?
উত্তর : আসলে চিপস বা জুস ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস নয়। এগুলো মুখরোচক হতে পারে, ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। এগুলোতে রয়েছে উচ্চ ক্যালরি। এ ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ কিছু নেই।
প্রশ্ন : খাদ্যতালিকায় কী থাকা উচিত?
উত্তর : খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশযুক্ত খাবার। শিশুর ভারসাম্যপূর্ণ খাবারে ডিম থাকতে পারে, শাক-সবজি থাকতে পারে, বাদামি ভাত থাকতে পারে। দেশীয় ফল খাওয়াতে হবে। এগুলোর মধ্যে পুষ্টি থাকে। আপেল, কমলা, আঙুর এগুলোর দরকার নেই। এগুলোতে রাসায়নিক থাকে। খাদ্য নিয়ে আসলে সচেতনতা বাড়াতে হবে।