সংগীত ওষুধ!
সংগীতের মূর্ছনায় মানুষ মোহাচ্ছন্ন হয়। মনের প্রশান্তির জন্য অনেকে সংগীত শোনেন। মনের খোরাক এই সংগীত আবার অপারেশন-পরবর্তী সুস্থতার জন্যও বেশ কার্যকর। নতুন এক গবেষণার ভিত্তিতে এ দাবি করেছেন গবেষকরা।
সংগীত ও অপারেশন-পরবর্তী সুস্থতার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন কয়েকজন শীর্ষ গবেষক। এ-সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে চিকিৎসাবিষয়ক সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট’।
গবেষকরা বলেন, অপারেশন-পরবর্তী অবস্থায় সুস্থতার জন্য ওষুধ সেবন ছাড়া আর যেসব পদ্ধতি আছে এর মধ্যে সংগীত সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এটি রোগীর উদ্বেগ ও ব্যথা কমায়। আর এই সংগীত চিকিৎসার খরচও কম। সংগীতের কারণে নিজের রোগের চিকিৎসা সম্পর্কেও রোগীদের মধ্যে সন্তুষ্টি দেখা যায়। তবে হাসপাতালে থাকার সময় কমাতে সংগীত কোনো প্রভাব ফেলে না।
গবেষকদের মতে, মানুষের মস্তিষ্কের ব্যথা বোঝার অংশে প্রভাব ফেলে সংগীত। এর প্রভাবে নির্দিষ্ট ধরনের রাসায়নিক বস্তু নিঃসৃত হয়, যা ব্যথা উপশম করে। তাই সংগীত চলাকালে বা এর পরে ব্যথা দূর হয়েছে বলে মনে করেন রোগীরা।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের ওপর সংগীতের প্রভাবের বিষয়টি নতুন নয়। অনেক আগে থেকে মানুষের শরীর ও মনের ওপর সংগীতের প্রভাবের বিষয়টি সবারই জানা। তবে এই প্রথম কোনো গবেষণায় রোগ থেকে সারিয়ে তুলতে সংগীতের ইতিবাচক ভূমিকার কথা প্রমাণিত হলো।
ভারতীয় চিকিৎসকদের মতে, এই গবেষণার ফলাফলের আলোকে বলা যায়, প্রতিটি হাসপাতালে সংগীত চালানোর ব্যবস্থা থাকা উচিত এবং রোগীর পছন্দ অনুযায়ী সংগীত শুনতে দিতে হবে।