মেয়েদের ব্রণ বেশি হয় কেন?

ব্রণ একটি প্রচলিত সমস্যা। ছেলেমেয়ে উভয়েরই ব্রণ হয়। তবে মেয়েদের ব্রণ একটু বেশি হয়। এর কারণ কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪০১তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডার্মাটোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মেয়েদের ব্রণ বেশি হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : এর কারণ হলো মেয়েরা কসমেটিকস, বিভিন্ন রং ফর্সাকারী ক্রিম, সানস্ক্রিন বেশি ব্যবহার করছে। একজন ছেলের তুলনায় একজন মেয়ে এসব প্রসাধনী বেশি ব্যবহার করে। এটি একটি বড় কারণ। সঠিক জিনিসটি ব্যবহার করা না হলে ব্রণ বেড়ে যাবে।
রং ফর্সাকারী ক্রিমের কথা বলছি, স্টেরয়েডের কথা বলছি। যেহেতু ব্রণ হলো একটি প্রদাহজনিত রোগ, এখন স্টেরয়েড ব্যবহার করলে তো দেখা যাবে ব্রণ প্রাথমিকভাবে কমে গেছে। তাই সাধারণ মানুষ এগুলো ব্যবহার করছে। ব্যবহার করে যখন প্রাথমিক অবস্থায় উন্নতি পাচ্ছে, তখন এটি বারবার ব্যবহার করছে। তবে পরে স্টেরয়েডজনিত ব্রণ হচ্ছে। ব্রণ বেড়ে আরো খারাপ দিকে চলে যাচ্ছে।
এর পর কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য ব্রণ হয়। যেমন : মেয়েদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বলে একটি রোগ রয়েছে। এটি খুব প্রচলিত রোগ। এর কারণে ব্রণ হতে পারে।
প্রশ্ন : এতে কী ঘটে?
উত্তর : হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জন্য সাধারণত সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্রণ হতে পারে, অবাঞ্ছিত লোম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। সঙ্গে ঋতুস্রাবের সমস্যা হতে পারে। ঋতুস্রাব বছরে আটবার বা আটবারের কম হয়। ঋতুস্রাব ৩৫ দিনের বেশি হয়। অনেক সময় আলট্রাসনোগ্রাম করলে আমরা পলিসিস্টিক ওভারি পাই। তো এই যে বিষয়গুলো বললাম, এর মধ্যে যেকোনো দুটো থাকলে আমরা বলি এই মানুষটি পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত। এই কারণগুলো মূলত ব্রণের জন্য দায়ী।