নবজাতকের পেটে গ্যাস : কীভাবে বুঝবেন, করণীয়
বড়দের মতো নবজাতকের পেটেও গ্যাস হতে পারে। আর এটি নতুন শিশুটির ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিদায়ক। এই অস্বস্তির থেকে হয়তো শিশুটি অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে; তার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে।
নবজাতকের পেটে গ্যাসের সমস্যা সমাধানের উপায়ের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৯২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মশিউর রহমান। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালের নবজাতক ও শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনেক সময় অনেকে অভিযোগ করে, শিশু রাতে ঘুমায় না, দিনে কখনো কখনো ঘুমায়। সেই ক্ষেত্রে শিশুটির রাতে অতিরিক্ত কান্না করার কারণ কী? এই যে তার ঘুমের চক্র এটিকে কীভাবে ঠিক করা যায়?
উত্তর : আসলে শিশু নিজের ঘুমের চক্র নিজেই তৈরি করে। এই চক্র ভাঙা একটু মুশকিল। ওরা ১৮ ঘণ্টা প্রতিদিন ঘুমাবে। এটি ওদের চাহিদা। ওরা যখন খুশি তখন ঘুমাবে, যখন খুশি তখন আবার জেগে ওঠবে। তবে প্রথম তিন থেকে চার মাস কিছু কিছু শিশু বিকেল, সন্ধ্যা, রাতে একটু বেশি কাঁদে। এর প্রধান কারণ হলো পেটে একটু গ্যাস হয়, এটি হরমোনজনিত। পুরো কারণটি এখনো উদঘাটন হয়নি। একে বলা হয় ইনফ্যানটাইল কলিক। প্রথম তিন/ চার মাস শিশুর এই কান্নাটা পরিবারকে ব্যস্ত করে রাখে। সেই সময় আমি পরামর্শ দেব, একটি ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করতে হবে। বারপিন বলি একে। খাওয়ার পরপরই যেন মা ঢেকুর তোলায়। তাহলে গ্যাসটা কম জমবে। তাহলে হয়তো কিছুটা কম কাঁদবে।
আর ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা মেনে নিয়েছে, গ্রাইপ ওয়াটার। এটি খেলে কিছুটা উপকার হতে পারে। যদি এত কিছুর পরে না হয়, তাহলে তিন/চার মাস বয়স পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হবে। চার মাসের পর শিশুর এই সমস্যাটা আর হয় না।
প্রশ্ন : এটি দিয়ে চিন্তিত হওয়ার কি কিছু রয়েছে?
উত্তর : না, না, চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সাময়িক একটু কষ্ট হচ্ছে। এটা প্রায় স্বাভাবিকের প্রক্রিয়ার ভেতর পড়ে যায়।