ধূমপান অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায়

অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট ফুসফুসের রোগ। ধূমপান অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। বর্তমানে তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালে বক্ষব্যাধি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের ক্ষেত্রে কি ধূমপান কোনো প্রভাব ফেলে?
উত্তর : অবশ্যই ফেলে। আর গর্ভাবস্থায় যদি কোনো মা ধূমপান যেখানে করে সেই পরিবেশে থাকে, তাহলে বাচ্চার অ্যাজমা হতে পারে।
অ্যাজমা হলো শ্বাসনালির প্রদাহজনিত রোগ। শ্বাসনালিটা ফুলে যায় এবং খুব সংবেদনশীল থাকে। সিগারেটের ধোঁয়া যখন শ্বাসনালিতে ঢোকে, ইরিটেশন হয়। এতে অ্যাজমার তীব্রতা, প্রকট, কষ্ট, উপসর্গ সব বেড়ে যায়। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ খুব কষ্টকর হয়ে যায়।
প্রশ্ন : ধূমপানের বাইরেও পরিবেশদূষণ বা অন্য কিছু কি কোনো ভূমিকা ফেলে?
উত্তর : হ্যাঁ, ফেলে। সিওপিডি হওয়ার আরেকটি কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের কোনো নারী হয়তো ধূমপান কখনই করেনি, তাদের সিওপিডি রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামে এটি। সেটি হলো আমরা যে লাকড়ির চুলায় রান্না করি বা কাঠ পুড়িয়ে রান্না করি, আমরা যখন ফুঁ দিই, সেটির ধোঁয়া ফুসফুসে ঢুকে যায়। সেটি থেকে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গ্রামের নারী, যাঁরা লাকড়ির চুলা ব্যবহার করেন, তাঁদের সিওপিডি হয়। তাহলে এই বায়োমাস ফুয়েল থেকে কিন্তু সমস্যা হতে পারে।
পরিবেশগত কারণে হতে পারে। ঢাকা শহরে তেল পোড়ানোর জন্য যেটি করা হয়, সেটিও সিওপিডি ও অ্যাজমার জন্য দায়ী।