‘টাইফয়েডের চিকিৎসা ১০ থেকে ১৪ দিন করতে হয়’

টাইফয়েড জ্বরে সাধারণত সর্দি-কাশি হয় না। তবে জ্বরটা অনেকদিন পর্যন্ত থাকে। এই চিকিৎসা অন্যান্য জ্বরের তুলনায় অনেকদিন করতে হয়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯২৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালে শিশু বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : টাইফয়েডের লক্ষণ কেমন?
উত্তর : জ্বর যেকোনো সংক্রমণের একটি বহিঃ প্রকাশ। যখন কোনো মানুষের জ্বর হবে, বুঝতে হবে তার শরীরের মধ্যে কোনো রোগ জীবাণু ঢুকছে। একটি বাচ্চার জ্বর এসেছে, তার সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়ছে। আমরা সাধারণভাবে মনে করি এটি কোনো ভাইরাল সংক্রমণের কারণে হতে পারে। আমরা পর্যবেক্ষণ করি। মা-বাবাকে বলি পানি বেশি করে খাওয়ান। নাক পরিষ্কার করে দেন। শরীরটা মুছে দেন। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসলও করিয়ে দিতে পারেন। তবে সবচেয়ে বেশি জোর দেই, পানি বেশি করে খাওয়ার জন্য, যেন শরীরে পানির ঘাটতি না হয় এবং বাচ্চা ঠিকমতো প্রস্রাব করতে পারে। তবে যখন দেখি নাক দিয়ে পানি নেই, তবে জ্বর সাতদিন হয়ে যাচ্ছে, তখন কিন্তু আমাদের মনের মধ্যে সন্দেহ থাকবে। তখন আমরা ভালোভাবে তার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করি। করার পর যে নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো করা প্রয়োজন সেগুলো করতে পাঠিয়ে দেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় টাইফয়েড চলে আসে।
এর চিকিৎসা কিন্তু খুব রাজকীয়। একদিন, দুইদিন নয়, ১০ থেকে ১৪ দিন চিকিৎসা করতে হয়।