টাইফয়েড জ্বর, বুঝবেন যেভাবে

টাইফয়েড প্রচলিত জ্বর। তবে এখন চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। এগুলোর মাঝে টাইফয়েড জ্বরকে আলাদা করে চেনার উপায় কী?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৪৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. কে এফ এম আয়াজ। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অন্য জ্বরের সঙ্গে টাইফয়েড জ্বরকে পার্থক্য করার উপায় কী?
উত্তর : এ ক্ষেত্রে আমি একটি বিষয় যোগ করে নিই। আমি যেটি বলব, সেটি সাধারণ। তবে তার মানে এটিই নয়, সব রোগীর এটিই লক্ষণ। সাধারণত ভাইরাস জ্বরে অনেক জ্বর নিয়ে রোগী হাজির হয়। তবে টাইফয়েড জ্বরের যখন ইতিহাস নেই, তখন দেখি এই জ্বরটা সাধারণত রোগীর পাঁচ/সাত দিন আগে থেকে অল্প অল্প করে আসতে থাকে। রোগীর একবেলা জ্বর আসে, খারাপ লাগে। তবে একটু পর ভালো। রোগী ভাবে, আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। রোগী হয়তো ঠিকমতো খেয়ালও করে না। খেয়াল করলে দেখা যায়, জ্বর এলে আস্তে আস্তে অল্প অল্প করে একবেলা করে আসছিল। এরপর দুবেলা/তিনবেলা করে আসে। যখন জ্বরের প্রকোপ বেড়ে গিয়ে একটি ভাইরাস জ্বরের মতো হচ্ছে, ১০৪ বা ১০৩ আসছে, তখন তারা আমাদের সামনে উপস্থিত হোন। এটা থেকে যেটা বোঝা যায় যে জ্বরটা ধীরে ধীরে ওঠে, সময়ের সঙ্গে বাড়ে এবং জ্বরের প্রথম দিকে লক্ষণ খুব কম থাকে। যখন সময় বাড়তে থাকে তখন দেখা যায়, জ্বরের পাশাপাশি পেটের কিছু সমস্যা হয়, বমি ভাব হয়। দেখা যায়, তার পায়খানা ঠিকমতো হচ্ছে না। প্রথম দিকে একটু কষা থাকে, তার পরের দিকে হালকা নরম হওয়া শুরু করে। পায়খানার গন্ধটা খুব খারাপ হয়ে যায়। রোগীর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। খাবারে একটি অন্য ধরনের গন্ধ পাওয়া শুরু হয়। ধীরে ধীরে রোগী অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়তে শুরু করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটা হতে সাধারণত সপ্তাহ দেড়েক সময় লাগে।