অ্যান্টিবায়োটিক থেকে কিডনি রোগের আশঙ্কা রয়েছে?

অনেকে ভাবেন, অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কিডনি রোগ হয় না। বিষয়টি কি সঠিক? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮০৭তম পর্বে কথা বলেছেন জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও অধ্যাপক ডা. শামীম আহম্মেদ।
প্রশ্ন : অনেকে মনে করে, কিডনির ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রভাব নেই?
উত্তর : রয়েছে। সিপ্রোমেক্সিন দলের দুটি-তিনটি ওষুধ খেলে অনেক সময় কিডনির সমস্যা হতে পারে। আমি আমার জীবনে ১০/১৫টি এ রকম রোগী ডিল করেছি। আপনি যদি ধরতে পারেন, তাহলে ঠিক করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে চার/পাঁচ ক্রিয়েটিনিন ঠিক করা যায়। আপনি ওষুধ বন্ধ করে দেন। পানির চিকিৎসা দেন। ডায়ালাইসিসও লাগে না।
কিডনির ছাঁকনির কোষগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাহলে ঠিক করা যায়। অনেক সময় ডায়ালাইসিস লাগে। তবে বেশিরভাগেরই ডায়ালাইসিস লাগে না। তবে আপনি যদি ওষুধ খেয়ে যান এবং কোষগুলো ধ্বংস হয়, তখন কিন্তু এটি ডায়ালাইসিস করে ঠিক করা যায় না। আমরা এক/দুই মাস ডায়ালাইসিস করি, তাও হয় না। ক্রনিক কিডনি ডিজিসে রূপান্তরিত হয়। আমার মনে হয়, যখন ওষুধগুলো ব্যবহার করছি, একটু খেয়াল রাখেন। কারণ, ওষুধ তো আমরাও দিই। আপনার নিজের একটু খেয়াল রাখতে হবে কোন ওষুধ কত দিন খাব।
আমরা কিন্তু বলে দিই, কোন ওষুধ সারা জীবন খেতে হবে। প্রেশারের ওষুধ সারা জীবন খেতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক আমরা বেশিদিন দিই না। তবে অনেক সময় দীর্ঘ মেয়াদে দিই কিছু কিছু ক্ষেত্রে। পাইলোনেফ্রাইটিস হলে দুই সপ্তাহ, প্রোস্টেট হলে চার সপ্তাহ দিই। তবে আপনার খেয়াল রাখতে হবে, কত দিন কোন ওষুধ খাচ্ছেন।
কিডনির যে রেনাল আর্টারি, সে ক্ষেত্রে যদি এসইলি মিটার দিই তখনো কিন্তু ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিডনির কার্যক্রমটা একটু পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
আসলে নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে অন্তত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খান। আর চিকিৎসকদেরও রোগীকে বলতে হবে, আপনি ওষুধ খাবেন এবং চেক করবেন। দীর্ঘ মেয়াদে ওষুধ খেতে হলে খান। তবে বছরে একবার চেক করান। এটা তো সম্ভব।