পিত্তথলিতে পাথর : লক্ষণ কী

পিত্তথলির পাথরে সাধারণত পেটে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া এর আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৭১৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক সালমা ইয়াসমীন চৌধুরী।
প্রশ্ন : পিত্তথলির পাথরের লক্ষণ কী?
উত্তর : প্রধানত এই পাথর হলে পেটে ব্যথা হয়। পিত্ত থাকে আমাদের পেটের ডান দিকের ওপরের অংশে, লিভারের সঙ্গে লেগে। ব্যথা মূলত ওই জায়গাতেই হয়। কখনো কখনো তীব্র ব্যথা হয়। আবার কখনো কখনো অল্প অল্প ব্যথা হয়। এই ব্যথা কখনো সম্পূর্ণ পেটে ছড়িয়ে যায়, ওখান থেকে শুরু হয়ে অথবা পিঠ ও ডান কাঁধের দিকে ছড়ায়। এর সঙ্গে রোগীর বমি থাকে, জ্বর থাকে, কখনো কখনো কাঁপুনিও থাকতে পারে অথবা কখনো জন্ডিস থাকতে পারে।
প্রশ্ন : পিত্তথলির পাথরের ঝুঁকির মধ্যে কারা পড়েন?
উত্তর : এটা সব বয়সেই হতে পারে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। বয়সটা চল্লিশের কোঠায় আছে, এ রকম নারীদের বেশি হয়। যাদের ওজন একটু বেশি, তাদের বেশি হয়। আবার কম বয়সেও হতে পারে। তবে কম বয়সে এই অসুখ হতে হলে প্রধানত যাদের রক্তের সমস্যা থাকে, তাদের হয়। আমরা জানি থ্যালাসেমিয়া বলে একটি রোগ আছে, এ ক্ষেত্রে হয়। আবার রক্তে যদি কারো দোষ থাকে, রক্তের কোষ ভেঙে যায়, তাদের এই সমস্যা হয়।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে যখন রোগীরা আসে, তখন কী ধরনের অভিযোগ নিয়ে আসে?
উত্তর : আমরা যেহেতু বিশেষজ্ঞ, রোগী অনেক সময়ই আমাদের সরাসরি এসে বলে আমি রোগ নির্ণয় হয়েই এসেছি, পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে। আর কিছু দলের আছে—যারা বলে, একটু ডান দিকে ব্যথা হচ্ছে, একটু টকটক ঢেঁকুর হচ্ছে অথবা ব্যথা পিঠের দিকে যাচ্ছে অথবা একবার তীব্র ব্যথা হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। এখন আপনার কাছে এসেছি সমস্যা কী জানতে।
প্রশ্ন : আপনারা এটি নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করেন?
উত্তর : এটি ক্লিনিক্যালি বোঝা যায় না। অবশ্যই রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। খুব প্রচলিতভাবে এটি নির্ণয় করা যায়। সেটি হলো আলট্রাসনোগ্রাফি। তাহলে আমরা এটি মোটামুটি নির্ণয় করতে পারি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারি, পিত্তথলিতে পাথর রয়েছে। এই পরীক্ষা গ্রামগঞ্জের সব জায়গায় হয়। পরীক্ষার পর নিশ্চিত হই যে পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে।