শিশুর কিডনিতে সার্জারি কখন প্রয়োজন?
বড়দের মতো শিশুও কিডনি রোগে ভোগে। আর কিছু রোগ তো রয়েছে, যে ক্ষেত্রে সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে। শিশুর কিডনিতে সার্জারি কখন প্রয়োজন?
এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মো. আবদুল আজিজ। তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৩৩তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : শিশুর কিডনির সার্জারি কখন করার পরামর্শ দেন?
উত্তর : যেমন হাইড্রোনেফ্রোসিসের কথা বললাম। বাচ্চা জন্মের তিন মাস পর থেকে হাইড্রোনেফ্রোসিস শুরু হয়। জন্মের আগে অনেক সময় রোগ নির্ণয় হয়। আবার অনেক সময় জন্মের পরে নির্ণয় হয়। জন্মের দুই মাস বয়সে সাধারণত ৫০ থেকে ৭০ ভাগ সমস্যা ভালো হয়ে যায়। এখানে দেখা যায়, প্রস্রাব যেখান দিয়ে বের হতো, সেই পথ অনেক সময় সরু থাকে, বাঁকা থাকে অথবা পথ পরিপক্ব থাকে না। জন্মের আগে অথবা জন্মের দুই মাস পর্যন্ত এ সমস্যা থাকে। এরপর যখন পথ পরিপক্ব হয়, এমনিতেই সমস্যা কমে যায়।
প্রস্রাব যে পথ দিয়ে বের হবে, সেখানে একটি ভালভ থাকে, পর্দা থাকে। এই পর্দা থাকলে জন্মের পরপরই অস্ত্রোপচার করে দিতে হয়। না হলে দেখা যায় প্রস্রাব জমে থাকে। এতে থলিতে সমস্যা হয়। এতে রোগী মারা যেতে পারে। এমন সমস্যা হলে জন্মের পরপর অস্ত্রোপচার করে দিতে হয়। না হলে দেখা যায় কিডনিতে বড় রকম সমস্যা হয়। সিস্টোস্কোপিক ভালগারেশন একটি অপারেশন। এটি করে দিলে শিশুটি সুস্থ হয়ে যায়। এ ছাড়া নিউরোব্লাস্টোমা, টিউমারে অপারেশন লাগেই।
আবার অনেক সময় দেখা যায়, একটি কিডনির দুটো ভাগ থাকে জন্মগতভাবে। এ রকম ক্ষেত্রে অপারেশন করা হয়।