কিডনি রোগের ৪ লক্ষণ

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও কর্মব্যস্ত জীবনের জটিলতায় যেসব রোগ নিঃশব্দে থাবা বসাচ্ছে আমাদের শরীরে, তার অন্যতম ক্রনিক কিডনি ডিজঅর্ডার বা ‘সিকেডি’।
ভারতের আনন্দবাজার অনলাইনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, প্রতিবছরই গোটা বিশ্বে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এই অসুখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত নিত্যনৈমিত্তিক জীবনে কিছু অনিয়ম ও অসতর্কতার কারণে ও কিছু ভুল পদক্ষেপ এই অসুখের মূল কারণ।
তাঁরা আরো বলছেন, এই অসুখ এতই নিঃশব্দে ও ধীরে ধীরে হয় যে ধরা পড়ার আগেই শরীরের ভেতরে তা অনেকটা ক্ষতি করে ফেলে। তাই সাবধান হতে গেলে এর উপসর্গগুলো জেনে আগে থেকেই সতর্ক থাকা খুব প্রয়োজন।
তবে ঠিক সময়ে চিকিৎসা করালে এই অসুখ প্রাথমিক স্তরেই আটকে দিয়ে সুস্থ থাকা যায়। কিন্তু দেরি হলেই তা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারে।
কিডনির কাজ
শরীরে ছাঁকনির কাজ করে কিডনি। বিপাক ক্রিয়ার পর শরীর থেকে যাওয়া বর্জ্য ও টক্সিক পদার্থকে রক্ত থেকে ছেঁকে মলমূত্রের মাধ্যমে বের করে দেয় কিডনি। তাই এটি ক্ষমতা হারালে শরীরে টক্সিক পদার্থ জমে যায়। এর সঙ্গে দূষিত পদার্থ না বের হওয়ায় শরীরে পানি ও পিএইচের ভারসাম্য ব্যাহত হয়।
রোগের উপসর্গ
১. বারবার মূত্রনালিতে সংক্রমণ হওয়া এবং বারবার হালকা জ্বর আসা।
২. অল্প পরিশ্রম করলেও ক্লান্ত লাগা ও শ্বাসকষ্ট হওয়া।
৩. প্রস্রাবের জায়গায় হঠাৎ জ্বালা ও তার সঙ্গে রক্তস্বল্পতা।
৪. হাত-পা-মুখে পরপর কয়েক দিন অস্বাভাবিক ফোলা।
প্রতিরোধের উপায়
১. এ অসুখ ঠেকাতে প্রাথমিকভাবে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন লবণ। বেশি লবণ খাবার কিডনির ওপর চাপ ফেলে।
২. ডায়াবেটিস বা রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকলে সেসব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা না হলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
৩. ডায়েট মানার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।
৪. বছরে অন্তত একবার নিয়মিত কিডনি ফাংশন টেস্ট করিয়ে রাখতে পারেন।