শীতে শিশুকে সুস্থ রাখতে অবশ্যপালনীয় ৩ বিষয়
শীত চলে এসেছে। এ সময় রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ে। শিশুর যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই এ সময় তাদের বাড়তি যত্ন জরুরি।
এই ঋতুতে শিশুকে সুস্থ রাখতে কিছু পরামর্শ জানিয়েছে ভারতীয় ওয়েবসাইট টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন সংস্করণ।
- ভিটামিন ডি-এর মাত্রা পরীক্ষা
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা কমে যায়। ভিটামিন ডি সংক্রমণ ও প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে ঘনঘন মানুষ অসুস্থ হতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর প্রধান উৎস সূর্যের আলো। সূর্যের আলো কম পাওয়ার কারণে শীতে এই ভিটামিনের মাত্রা কমার আশঙ্কা বাড়ে।
আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্সের মতে, প্রথম বছরে একটি শিশুর প্রতিদিন অন্তত ৪০০ আইইউ ভিটামিন ডি-এর প্রয়োজন হয়। আরেকটু বড় শিশু ও বয়ঃসন্ধিদের প্রতিদিন ৬০০ আইইউ ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
আপনার শিশু বারবার অসুস্থ হলে এবং সব সময় ক্লান্ত বোধ করলে চিকিৎসককে বলুন ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি রয়েছে কি না পরীক্ষা করতে।
- ওমেগা থ্রি
ওমেগা থ্রি মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে জরুরি। ওয়ালনাট, স্যামন অথবা সাপ্লিমেন্ট দিয়ে শিশুর ওমেগা থ্রি-এর চাহিদা নিশ্চিত করুন। তবে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ছাড়া যেসব মা স্তন্যদান করছেন, তাদের ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। এতে শিশু এই ফ্যাটি এসিডটি পাবে।
- অসুস্থ হলে হলুদ খেতে দিন
বহুকাল ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমাধানে হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদের প্রধান উপাদান কারকিউমিন প্রদাহরোধী, ভাইরাসরোধী ও ক্যানসাররোধী। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে এবং প্রদাহ কমায়। তাই শীতে এ খাবার অবশ্যই শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন।