ফোন করার চেয়ে মেসেজ করা কেন ভালো?

মেসেজ বা এসএমএস করা, যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। অনেক সময় ফোন করার চেয়ে মেসেজ করাটা জরুরি হয়ে পড়ে। সেটা নিজের প্রয়োজনে হতে পারে আবার অন্যের কারণেও হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ফোন করার চেয়ে মেসেজ করাটা শ্রেয়। কেন জানতে চান? তাহলে রিডার্স ডাইজেস্টের এই তালিকাটি একবার দেখে নিতে পারেন।
১. অনেক সময় মনের অনুভূতিগুলো চাইলেও বলা সম্ভব হয় না। কথাগুলো ব্যক্তিগত হতে পারে আবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যও হতে পারে। আবার কারো কারো গুছিয়ে কথা বলার অভ্যাস নেই। তাদের জন্য মেসেজ খুবই ভালো একটা উপায়। যা তাদের মনের কথাগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সাহায্য করবে।
২. যাত্রাপথে ফোন করার চেয়ে মেসেজ করাই ভালো। কারণ আপনার ফোনে কথা বলার কারণে পাশের যাত্রী বিরক্ত হতে পারেন। আবার যাহবাহনের শব্দের কারণেও আপনাকে জোরে জোরে কথা বলতে হয়। এটা খুবই অস্বস্তিকর একটা বিষয়। তাই এ সময়টাতে ফোন না করে মেসেজ করুন।
৩. আপনি যখন কোনো বিপদে পড়বেন তখন হয়তো ফোন করে কথা বলার কোনো উপায় থাকবে না। এমনও হতে পারে যাকে ফোন করলেন সে আপনার ফোন ধরতে পারল না। তখন সে জানতেও পারল না আপনি কোন সমস্যায় পড়েছেন। তাই ছোট করে একটা মেসেজ পাঠিয়ে রাখুন। এটা আপনার বিপদের সময় কাজে লাগবে।
৪. গুরুত্বপূর্ণ কথা রাস্তার মধ্যে ফোনে না বলাটাই ভালো। কারণ কার মনে কী আছে আপনি জানেন না। তাই স্পর্শকাতর কোনো কথা জনসম্মুখে না বলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. যখন আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন, তখন ফোন ধরাটা সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে ফোনে ছোট ছোট কিছু মেসেজ সেট করা থাকে যা শুধু পাঠিয়ে দিলেই হয়। ব্যস্ততার সময় এই মেসেজগুলো আপনার বেশ উপকার করবে।
৬. যখন কোনো এক জায়গায় সবাই মিলে দেখা করার পরিকল্পনা করেন, তখন ফোনের মেসেজের গ্রুপ অপশনে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ। সবাইকে আলাদা করে ফোন করার কোনো দরকার আছে বলুন?
৭. যখন কোনো কিছু বলতে আপনার লজ্জা বা অস্বস্তি লাগবে, তখন মেসেজই সবচেয়ে ভালো উপায়। নির্দ্বিধায় নিজের কথা বলে দিতে পারবেন। বিশেষ করে, অন্তর্মুখী স্বভাবের মানুষরা সহজেই নিজের অনুভূতি প্রকাশে করতে মেসেজ অপশনকেই আগে বেছে নেন।