চুল নিয়ে প্রচলিত ৫টি ভুল ধারণা!

ছোটোবেলা থেকেই আমরা সবাই কমবেশি চুল নিয়ে অনেক প্রচলিত কথা শুনেছি। কীভাবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল লাভ করা যাবে, এই বিষয়ে বড়দের মধ্যে এখনো নানা ধারণা প্রচলিত আছে। কিন্তু সব ধরনের চুলের যত্নে একই কথা কখনই সত্যি হতে পারে না। স্থান, কাল, পরিবেশ ও চুলের ধরন ভেদে ভিন্ন রকমের যত্নের প্রয়োজন হয়। আজকের আয়োজনে চুল নিয়ে প্রচলিত এমনই পাঁচটি ভুল ধারণা এবং সত্যি ধারণা সম্পর্কে জানবো, যার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ‘সৌদি বিউটি ব্লগ’-এর রূপচর্চা বিভাগে।
প্রচলিত ধারণা : ১
কিছুদিন পর পরই চুলের জন্য ব্যবহৃত প্রসাধনীর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করা ভালো।
মূল ধারণা :
বার বার প্রসাধনীর ব্র্যান্ড পরিবর্তন করার সাথে ভালো বা খারাপ চুলের কোনো সম্পর্ক এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। বরং রূপবিশেষজ্ঞরা চুলের ধরন বুঝে ভালো একটি ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু বা হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন। তাই সব সময় চুলের সাথে মানানসই প্রোডাক্ট ব্যবহার করাই উচিত। বিভিন্ন কারণ যেমন-গর্ভাবস্থায়, মেনোপজ, দুশ্চিন্তা বা হতাশা ইত্যাদি হলে চুলের ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। তখন পরিবর্তন বুঝে প্রসাধনীও পরিবর্তন করে নিন।
প্রচলিত ধারণা : ২
বার বার চুলের আগা কাটলে চুল দ্রুত লম্বা হয়।
মূল ধারণা :
প্রতি ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুল কাটলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ড্যামেজ বা ক্ষতি প্রতিরোধ হয়। কিন্তু চুল দ্রুত লম্বা হয় এমন কিছুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি। চুল তো মাথার তালু থেকে বৃদ্ধি পায়, চুলের আগা থেকে নয়।
প্রচলিত ধারণা : ৩
একটি পাকা চুল তুললে একই স্থানে আরো পাকা চুল গজাবে।
মূল ধারণা :
এই ধারণা মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাই পাকা চুল তুললে এই স্থানে আরো পাকা চুল উঠবে অথবা পাশের চুলগুলো পেকে যাবে, এসব ধারণা বিশ্বাস করা উচিত নয়। অনেকেই পাকা চুল তোলার চেয়ে কেটে ছোট করে রাখাকে ভালো মনে করে।
প্রচলিত ধারণা : ৪
সব সময় চুলের আগা থেকে গোড়া পুরোটা আঁচড়াতে হবে।
মূল ধারণা :
গোসলের পর পুরো চুল আঁচড়ানো সবচেয়ে বাজে কাজ হবে। কারণ ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই নিচের দিক থেকে ধীরে ধীরে উপরে আঁচড়ানো বেশ ভালো এবং বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। আর চুল পড়লে গোসলের আগে ভালো করে আঁচড়ে নিন।
প্রচলিত ধারণা : ৫
হেয়ার জেল ব্যবহার করলে মাথা টাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মূল ধারণা :
এই ধারণাও সম্পূর্ণ ভুল। যদি খারাপ মানের হেয়ার জেল ব্যবহার করেন তাহলে চুলের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনি টাক হবেন না। কারণ টাক হওয়ার ব্যাপারটি জেনিটিক বা অন্য বায়োলজিক্যাল বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত।