বেনাপোলে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি শুরু
যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে দুদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। আজ শনিবার বেনাপোলের পেট্রাপোল বন্দরের তিনটি প্রবেশদ্বার খুলে দেওয়া হয়েছে। দুপুর থেকে ভারতীয় ট্রাক থেকে বেনাপোল নোম্যান্স ল্যান্ডে পণ্য লোড-আনলোড শুরু হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশে তাদেরর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকবে না। যার কারণে উভয় দেশের নোম্যান্স ল্যান্ডে পণ্য উঠানামা হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন বলেন, ‘আজ ভারত থেকে ১০টি ট্রাকে ১৮৬ মেট্রিক টন শুধু পাটবীজ আমদানি হয়েছে। জরুরি এ পণ্য চালানগুলো প্রবেশের জন্য পেট্রাপোল বেনাপোল বন্দরের তিনটি গেট খুলে দিয়ে লোড-আনলোড করা হচ্ছে। পাটবীজের এ চালানগুলো পেট্রাপোল বন্দরে আটকে ছিল গত এক মাস ধরে।
গত ৩০ এপ্রিল পাটবীজের প্রথম ২৫ টনের একটি চালান দেশে এই চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশ করে। এ সময় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিজিবি সদস্যরা জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে ট্রাকগুলো স্প্রে করে। এ ছাড়া ভারত ও বাংলাদেশের যাত্রী আসা যাওয়ার প্রধান ফটকেও বিজিবি বসিয়েছে একটি জীবাণুনাশক ঘর।
তবে বেনাপোল বন্দরের পক্ষ থেকে নোম্যান্স ল্যান্ডে কোনো স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখা যায়নি। বাংলাদেশের শ্রমিকরা ভারতের ট্রাক থেকে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য লোড করায় ঝুঁকি থাকছে বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। সে দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব পাটবীজ এসেছে। সঙ্গে রয়েছে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের শ্রমিকরাও। তবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের পিপিই, হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্ক থাকা জরুরি হয়ে পড়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সুপারিনটেনডেন্ট শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘এসব পণ্য বেনাপোল বন্দরে নিয়ে পরীক্ষণ শেষে আজই ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে যদি কোনো আমদানিকারক তাদের পণ্য গোডাউনে রাখতে চান সেক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, ‘যেসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, তা আমদানিকারক চাইলে আজই ডেলিভারি নিতে পারেন। তবে আমরা কাস্টমসের সঙ্গে কথা বলছি, অচিরেই ভারতীয় বন্দরের পাশে ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত ওপেন ইয়ার্ডে বেশি বেশি ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক একদিনেই খালাশ করে ফেরত দিতে পারব।’
গত ৩০ এপ্রিল একমাস পর ভারতের পরীক্ষামূলক প্রথম পণ্য চালান আসে ভুট্টা, পাটবীজ ও পানের।