আল্লাহ আমাদের সঙ্গে ছিলেন : মরগান
টানটান উত্তেজনায় ম্যাচটা জিতেছে মরগানের দল ইংল্যান্ড। শুধু কি ম্যাচটা জেতা? ওই ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখল ইংরেজরা। ম্যাচের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন মরগানকে, ‘ভাগ্য আপনাদের সঙ্গে ছিল?’ মরগান উত্তর দেন, ‘আল্লাহ আমাদের সঙ্গে ছিলেন।’
ইংরেজিতে ‘গড’ নয়, একেবারে ‘আল্লাহ’ শব্দটি উচ্চারণ করেই উপস্থিত সাংবাদিকদের চমকে দেন মরগান। তিনি বলেন, ‘উই হ্যাড আল্লাহ উইথ আস অ্যাস ওয়েল।’
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেছে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ ট্রফিটা ধরেছিল ববি মুরের দল। অথচ ক্রিকেটের সেরা মুকুটটা নাগালের বাইরেই ছিল তাদের। মরগান সংবাদ সম্মেলনে এলেন সেই সেরার ট্রফিটা নিয়েই।
ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ফাইনালটিও ছিল অসাধারণ। শেষ বলেও মীমাংসা না হওয়ায় তা গড়ায় সুপার ওভারে। এমন ফাইনাল কেউ দেখেনি আগে। পুরো ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দুলেছে। একবার মনে হয়েছে ইংল্যান্ড, আরেকবার মনে হয়েছে জিতবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু শেষ হাসি হাসল ইংল্যান্ডই।
Eoin Morgan "We had Allah with us" #CWC19Final pic.twitter.com/Rfb6JdwScI
— Saj Sadiq (@Saj_PakPassion) July 14, 2019
সাংবাদিকদের জানার আগ্রহ ছিল ওই বিষয়ই। তার মানে ভাগ্যটা ছিল ইংল্যান্ডেরই ভালো। মরগানকে ওই নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। মরগান বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। আমি আদিলের (আদিল রশিদ) সঙ্গে কথা বলছিলাম। সে আমাকে বলল, আল্লাহ অবশ্যই আমাদের সঙ্গে আছেন।’
মরগান বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড ছিল অসাধারণ, দারুণ ধারাবাহিক। সেমিফাইনালে তারা শক্তিশালী ভারতকে হারিয়েছে।’
বিশ্বকাপজয়ী প্রথম অধিনায়ক। এতে কি কোনো পরিবর্তন আসবে মরগানের জীবনে? জানতে চাইলে মরগান বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা আমার জীবন বদলে দেবে। আমি আমার জীবন উপভোগ করি।’
লর্ডসে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ৫০ ওভার শেষে ২৪১ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। বোল্টের করা সুপার ওভারে স্টোকস ও বাটলার করেন ১৫ রান। জবাব দিতে নামেন নিশাম ও গাপটিল। আর্চারের করা ওই ওভারে সমান ১৫ রানই করে নিউজিল্যান্ড। বাউন্ডারির সংখ্যা বেশি বিচারে জয়টা মেলে ইংল্যান্ডের। আর পুরো ম্যাচে স্টোকস ছিলেন অসাধারণ। তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা।