শুধু ভারত নয়, বৃষ্টির কাছেও হেরেছে পাকিস্তান
খেলার দ্বিতীয় ইনিংসের তখন ৩৫ ওভার হয়েছে। জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৫ ওভারে ১৭১ রান, হাতে চার উইকেট। এমন সময় বৃষ্টি শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর আবার খেলা শুরু হয়েছে ঠিক, কার্টেল ওভারে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪০ ওভারে ৩০২ রান। মানে জিততে হলে মাত্র ৩০ বলে করতে হবে ১৩৬ রান।
বিশ্বকাপে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এমন অসম্ভব লক্ষ্য টপকাতে পারেনি পাকিস্তান। তাই অনুমিতভাবেই হেরেছে ৮৯ (বৃষ্টি আইনে) রানের বিশাল ব্যবধানে। তাই বলাই যায়, পাকিস্তান এদিন শুধু ভারতের কাছেই নয়—হেরেছে বৃষ্টির কাছেও।
অবশ্য এদিন দুই-একজন ছাড়া পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানই খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ওপেনার ফখর জামান ৭৫ বলে ৬২ এবং ওয়ানডাউনে নামা বাবর আজম ৫৭ বলে ৪৮ রান করে কিছুটা আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পারনেনি। শেষ দিকে ইমাদ ৪৬ রান করেছেন ঠিক, দলের হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাই দলকে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
অবশ্য এর আগে প্রথমে ব্যাট করে বড় সংগ্রহই গড়েছিল ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ৩৩৬ রান করেছিল। রোহিত শর্মা করেছেন সর্বোচ্চ ১৪০ রান। জয় পেতে হলে ৩৩৭ রান করতে হবে সরফরাজের দলকে। হেরে গেলে ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপে টানা সাত হারের শিকার হতে হবে।
৪৬ ওভারের দিকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক এম এস ধোনি আউট হন। এরপরই বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির আগে ৪৬ ওভার চার বলে চার উইকেটে ৩০৫ রান করে ভারত।
শিখর ধাওয়ান নয় রোহিত শর্মা ওপেন করতে নামলেন কে এল রাহুলকে নিয়ে। খেললেন অন্যদিনের মতোই। যেন বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ, তাতে কী! এত চাপ নেওয়ার কী আছে? ওই চাপেই ভেঙে পড়ছে পাকিস্তান। নইলে মাঝপথ থেকে রোহিত দৌড়ে ফিরেছেন; রানআউট করতে পারেননি সরফরাজরা!
সেই রোহিত করলেন ১৪০ রান। মাত্র ৮৬ বল খেলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাসান আলীর বলে ওয়াহাব রিয়াজের কাছে ক্যাচ দেন তিনি। পরে হার্দিক পান্ডিয়া এসে ১৯ বলে ২৬ রান করে আউট হন। বিজয় শঙ্কর আউট হন তিন রানে।
২৪তম ওভারে কে এল রাহুলকে ফেরান ওয়াহাব রিয়াজ। ৫৭ রানে আউট হন রাহুল।
এর আগে টসে জেতেন পাকিস্তানের সরফরাজ খান। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মাঠে ফিল্ডিংই নিলেন তিনি। ব্যাটিংয়ে পাঠালেন কোহলির ভারতকে।
আমিরকে দিয়ে দারুণ একটা সূচনা করতে চেয়েছিলেন সরফরাজ। তবে আমিরকে শুরুতেই বেশ সাবধানে খেলেন রোহিত ও রাহুল। কিন্তু অন্য বোলারদের কেউই সমীহ আদায় করতে পারেননি। আমির ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। কিন্তু হাসান আলী নয় ওভারে ৮৪ রান দেন। ইমাদ, শাদাব ও শোয়েব মালিকও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারেননি।