সহকর্মীদের সঙ্গে থাকুক সুসম্পর্ক
রিয়া বরাবরই হাসিখুশি। সবার সঙ্গে সবসময় মজা করতে ভালোবাসে। বন্ধুমহলে এই কারণেই বেশ জনপ্রিয় সে। অফিসে যোগ দেয়ার আগে ভেবেছিল অফিসেও সে তেমনই থাকবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় আর অফিসের মধ্যে যে অনেক ফারাক, তা সে আন্দাজ করতে পারেনি। প্রথম দিকে সবার সঙ্গে মানিয়ে নিলেও, ওর ইমেজটাই হয়ে গেল ওর শত্রু। ওকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। পেছনেও নানা মন্তব্য করে ওকে নিয়ে। নিন্দুকেরও অভাব নেই। কেউ কেউ ভাবে ও নাকি বড্ড বেশি গায়েপড়া স্বভাবের। রিয়া ভাবতে বসে, কাকে দোষ দেবে? নিজেকে নাকি সহকর্মীদের?
অফিসে আসলে এক ছাদের নিচে থাকে নানারকম মানুষ। কেমন হবে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক? গাঢ় বন্ধুত্ব নাকি স্রেফ সৌজন্যতা রক্ষা করে চলা? অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং সৌজন্য সম্পর্কের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি। ওয়ার্ক ইট ডেইলি’র সৌজন্যে রইল আপনার জন্য কিছু পরামর্শ।
১। সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের প্রধান উপকরণ হচ্ছে পেশাদারিত্ব। অফিস চলাকালে কাজ যেন আপনার কাছে প্রধান গুরুত্ব পায়। সহকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়ও কাজ সংক্রান্ত আলোচনাকেই বেশি প্রাধান্য দিন।
২। অফিসে নিজের ইগো নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। ছোটখাটো মতবিরোধ যেন ঝগড়ার পর্যায়ে না পৌঁছায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৪। সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বিশেষ দিবসে তাদের শুভেচ্ছা জানান। প্রয়োজনে তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। অফিসে অনুপস্থিত হলে সহকর্মীকে ফোন করে তার খোঁজ নিন। কিন্তু কখনোই কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাবেন না।
৫। নিজের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে দেবেন না। প্রত্যেকেরই কাজ করার নিজস্ব ধরন থাকে। সেই নিজস্বতাকে সম্মান করুন।
৬। অবসর সময়টাতে শুধু গালগপ্পো করবেন না। অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাবেন না কিংবা বাজে মন্তব্য করতে যাবেন না। এটা শুধু আপনার নিম্ন রুচিরই পরিচায়ক হবে না, এতে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খারাপ হতে বাধ্য।