২৭ নভেম্বর থেকে ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব ২০১৫’
আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে দেশে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব বাংলাদেশ। এ বছরও উৎসব চলবে পাঁচদিন। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব। বরাবরের মতো ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এটি। আজ ১০ অক্টোবর ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ ঘোষণা করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ও স্কয়ার নিবেদিত এই উৎসব শিল্পী ও দর্শকের অংশগ্রহণের বিচারে এরই মধ্যে উপমহাদেশের তথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিসরের উচ্চাঙ্গসংগীত আসর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চিত্রকর ও শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর স্মৃতির প্রতি। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন শাস্ত্রীয় সংগীতের ঐতিহ্যগত গঠন ও কৌশলের প্রতি সাধারণ শ্রোতাদের আগ্রহ বাড়াতেই ২০১২ সালে উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়।
অংশ নেবেন যাঁরা
এবারের উৎসবে অংশ নেবেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। তিনি একক তবলাবাদন পরিবেশন করবেন। এবারের অন্য নতুন শিল্পীরা হচ্ছেন বাঁশিশিল্পী জয়াপ্রদা রামমূর্তি। প্রথমবারের মতো আসছেন খ্যাতিমান কর্ণাটকি কণ্ঠশিল্পী পদ্মবিভূষণ ড. বালমুরালীকৃষ্ণ। তিনি এবারের আসরের প্রবীণতম শিল্পী। তাঁর সঙ্গে বাঁশিতে যুগলবন্দি বাজাবেন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড নমিনি শিল্পী রনু মজুমদার।
উৎসবে প্রথমবারের মতো আরো আসছেন জনপ্রিয় খেয়ালিয়া শুভা মুদগাল, শ্রুতি সাদোলিকা ও ধ্রুপদিয়া ওয়াসিফউদ্দিন ডাগর। এন রাজমের নেতৃত্বে আসছেন কর্ণাটকি ধারার তিন প্রজন্মের বেহালাশিল্পী।
কুচিপুডি নৃত্য পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট দম্পতি রাজা ও রাধা রেড্ডি। আসবেন একই পরিবারের দুজন ভিন্ন মেজাজের শিল্পী যাঁদের বাংলাদেশের সঙ্গে নাড়ির টান রয়েছে ইরশাদ খান ও সুজাত খান। ময়মনসিংহের গৌরীপুরের প্রবাদপ্রতিম সেতারিয়া ওস্তাদ বিলায়েত খাঁর ভ্রাতুস্পুত্র ইমরাত খান সুরবাহার বাজাবেন।
দুই বছর আগে এই উৎসবে গেয়েছিলেন অস্কার মনোনয়নপ্রাপ্ত বম্বে জয়শ্রী। তিনি এবারও আসবেন। প্রতিবারের মতোই থাকবেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকার, পণ্ডিত উল্লাস কশলকার, পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার ও ওস্তাদ রাশিদ খান।
বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে এবার অংশগ্রহণ করবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ। ড. অসিত রায়ের পরিচালনায় সংগীত বিভাগ আটজনের একটি দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করবে। বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী ও সংগঠক মিনু বিল্লাহর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বাংলাদেশের ২২ জন নৃত্যশিল্পী। ওয়ার্দা রিহাবের পরিচালনায় মণিপুরি দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবেন ৩০ জন নৃত্যশিল্পী। অনিমেষ বিজয় চৌধুরীর পরিচালনায় সিলেটের আটজন শিল্পী পরিবেশন করবেন ধামার। এককভাবে মঞ্চে আসবেন বিশিষ্ট সরোদশিল্পী ইউসুফ খান।
নিবন্ধন
গতবারের মতো অনলাইনে নিবন্ধন করে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে বিনামূল্যে প্রবেশের পাস সংগ্রহ করতে হবে। নভেম্বর মাসের শুরু থেকে সীমিত সময়ের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন চলবে। যাদের হাতের কাছে ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তারা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধানমণ্ডির বেঙ্গল গ্যালারি, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বেঙ্গল সেন্টার, বনানীতে লক্ষ্ণৌ, উত্তরায় কুশল সেন্টার ও ফার্মগেটে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। অফ-সাইট নিবন্ধন এবং মোবাইলে নিবন্ধন অনুষ্ঠানের প্রথম দুদিন পর্যন্ত চলবে। তৃতীয় দিন থেকে আর অফ-সাইট অথবা মোবাইলে নিবন্ধন করা যাবে না। অনুষ্ঠানস্থলে এবার নিবন্ধন করা যাবে না।
উৎসবের তৃতীয় দিন (২৯ নভেম্বর) থেকে রাত ১টায় গেট বন্ধ হয়ে যাবে। আগেরবারের মতো শ্রোতাদের আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছানোর জন্য ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে উৎসব প্রাঙ্গণ অভিমুখী বাস থাকবে।
বিস্তারিত জানতে এবং নিবন্ধনের জন্য www.bengalfoundation.org ওয়েবসাইটে এবং ফেসবুকে www.facebook.com/bfmusicfest পেজ ভিজিট করতে পারেন।