‘ওগো নিরুপমা’র মোড়ক উন্মোচন
প্রকাশিত হলো হারানো দিনের কালজয়ী বাংলা গানের অ্যালবাম ‘ওগো নিরুপমা’। অ্যালবামটি প্রকাশ করেছে ফাহিম মিউজিক। দ্বৈত গানের এই অ্যালবামে কণ্ঠ দিয়েছেন শাদমান কিবরিয়া ও সালমা কিবরিয়া। সম্পর্কে তাঁরা দুজন মা-ছেলে। শিশু সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁদের পরিচিতি রয়েছে। অ্যালবামটিতে মোট ১০টি গান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হারানো দিনের কিছু গান হলো ‘ওগো নিরুপমা করিও ক্ষমা’, ‘আমায় প্রশ্ন করে’, ‘কফি হাউজের সেই আড্ডাটা’।
গতকাল সন্ধ্যায় গুলশান ১-এর পিজা হাটে অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান ও বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক আলী ইমাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেখক ও সাংবাদিক আবিদ আজম।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান অ্যালবামটি সম্পর্কে বলেন, ‘এই সিডিতে সালমা কিবরিয়া ও শাদমান কিবরিয়া যেসব গান ধারণ করেছে তা এখন পুরনো দিনের গান হিসেবে পরিগণিত। আমাদের কাছে তা পরিচিত ছিল আধুনিক গান বলে। বিশিষ্ট গীতিকার, প্রতিভাবান সুরকার ও যশস্বী শিল্পীর সহযোগে এমন সৃষ্টি সম্ভবপর হয়েছিল এবং তা শ্রোতার চিত্ত জয় করে নিয়েছিল। মা ও ছেলে সালমা ও শাদমান-যত্ন ও কলানৈপুণ্যের মধ্যে তা পূনর্নির্মাণ করেছেন। এসব গান শুনে অনেকে স্মৃতিকাতর হবেন, কাতর হওয়ার মতো স্মৃতি যাঁদের নেই, তাঁরাও আনন্দলাভ করবেন। আমি “ওগো নিরুপমা”র সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।’
এদিকে শিল্পীদের সাফল্য কামনা করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম।
২০১৩ সালে সালমা কিবরিয়া ও শাদমান কিবরিয়ার ‘সুরের আকাশ’ শিরোনামে প্রথম দ্বৈত গানের অ্যালবাম বের হয়। ‘ওগো নিরুপমা’ তাঁদের দুজনের দ্বিতীয় দ্বৈত অ্যালবাম। দ্বিতীয় গানের অ্যালবাম প্রকাশ করতে পেরে অনেক খুশি সালমা কিবরিয়া ও শাদমান কিবরিয়া।
সালমা কিবরিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হারানো দিনের এই গানগুলো আমার মা গাইতেন। তাই গানগুলো করার সময় মায়ের কথা খুব মনে পড়েছিল। ওস্তাদ ইকবাল আহমেদ তাপসের কাছে আমরা মা-ছেলে নিয়মিত গানের তালিম নিচ্ছি। তবে গান শখের বশে করছি। লেখালেখি মূলত নিয়মিত করে যেতে চাই। গানের অ্যালবামের রেকর্ডিং কলকাতার লং প্লে ও শ্রী রাম অডিও স্টুডিওতে আমরা করেছি। গানের বাদ্যযন্ত্র যাঁরা বাজিয়েছেন তাঁরা এক কথায় অসাধারণ।’
শাদমান কিবরিয়া বলেন, ‘আমার মা আমার সব কাজে অনুপ্রেরণা দেন। ভবিষ্যতে যাতে ভালো ভালো গান সবাইকে উপহার দিতে পারি। আমার জন্য সে দোয়া করবেন।’