মীর দাদা খুব চমৎকার মনের মানুষ : হৃদয়
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল জি-বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল’-এর নবম সিজনে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে এমদাদুল হক হৃদয় ছিলেন অন্যতম। এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সাহস পাবলিকেশনস থেকে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা প্রথম বই ‘এ জার্নি বাই মীরাক্কেল’। বই ও অন্যান্য প্রসঙ্গে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন হৃদয়।
‘এ জার্নি বাই মীরাক্কেল’ বইটি লিখতে কেন আগ্রহী হলেন?
হৃদয় : প্রথমে বইটা লিখতে চাইনি। কিন্তু অনেক দর্শক আমাকে দেখলে প্রশ্ন করেন ‘আচ্ছা ভাই, আপনি মীরাক্কেলে কীভাবে গেলেন?’ আরো অনেক বিষয়ে দর্শকের আগ্রহ দেখেছি। তাই ভাবলাম মীরাক্কেলে যাওয়ার পুরো অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা বই বের করলে মন্দ হয় না। সাধারণ দর্শককের মীরাক্কেল নিয়ে অনেক কৌতুহল আছে। যাহোক এখন ‘এ জার্নি বাই মীরাক্কেল’ বইটি থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি । আমারও ভালো লাগছে।
‘এ জার্নি বাই মীরাক্কেল’ বইটি সম্পর্কে আরেকটু বিস্তারিত বলুন।
হৃদয় : মীরাক্কেল অনুষ্ঠানের শুটিংয়ের সময় পর্দার পিছনে আমার অনেক মজার মজার ঘটনা আছে। গ্রুমিং হাউসে সবার সঙ্গে আমি অনেক আড্ডাও দিতাম। সেই সব স্মৃতি নিয়ে মূলত বইটা লিখেছি। এছাড়া মীরাক্কেলের অডিশন দেওয়া থেকে শুরু করে কলকাতায় যাওয়ার নানা অভিজ্ঞতাও বইটিতে আমি লেখার চেষ্টা করেছি। আমার প্রিয় কিছু জোকসও আছে বইটিতে।
মীরাক্কেলের উপস্থাপক মীর আফসার আলী সম্পর্কে কিছু বলুন।
হৃদয় : এক কথায় মীর দাদা অসাধারণ। তাঁর কাছে অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে। সব থেকে বড় কথা, মীর দাদার মধ্যে কোনো ভণ্ডামি নেই। তাঁর ভিতর ও বাহির একই রকম। মীর দাদা খুব চমৎকার মনের মানুষ।
এখন আপনি কী নিয়ে ব্যস্ত ?
হৃদয় : বিভিন্ন স্টেজ শোর নিয়মিত উপস্থাপনা করছি। অভিনয় করার আপতত ইচ্ছে নেই। একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শিগগির একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা শুরু করব। আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্টে পড়ছি। পড়াশোনা নিয়েও ব্যস্ত আছি।