সংগীতশিল্পীরা রেকর্ডিং, রিহার্সেল, কনসার্ট নিয়ে সারাক্ষণ অনেক ব্যস্ত থাকেন। খুব সহজে তারা কাজ থেকে ছুটি পান না। সুকণ্ঠী গায়িকা পড়শির বেলাও এ রকমটাই হয়। পড়াশোনা, গান, কনসার্ট, ছবি আঁকা একই সঙ্গে সবই চালিয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয় এই তারকা সংগীতশিল্পী। আজ আমরা জানব, ছুটির দিনে কী করে কাটে পড়শির চারবেলা।

পড়শির সকাল

আমি ঘুমাতে খুব পছন্দ করি। যেদিন কোনো কাজ থাকে না, সেদিন অনেক সকাল পর্যন্ত ঘুমাই। ঘুম থেকে জাগতে বেজে যায় বেলা ১২টা। কখনো কখনো ১১টায় উঠে পড়ি। তারপর ফ্রেশ হয়ে হালকা খাবারের মধ্যে সকালের নাশতা করি। রুটি ও ডিম ভাজি সাধারণত আমি খাই। তারপর একটু টিভি দেখি। এভাবে দুপুরের আগে সময় আমার কেটে যায়। 

পড়শির দুপুর

দুপুরে আমি ঘরে থাকতে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। জলরং দিয়ে ছবি আঁকি। এই সময় ছবি আঁকতে অনেক ভালো লাগে। এ ছাড়া নিত্যদিন ব্যবহারের অনেক জিনিস দিয়ে আমি অনেক কিছু তৈরি করি। যেমন ঘর সাজানোর নানা শো পিস, পেনসিল রাখার বাক্স, আরো অনেক কিছু। তারপর দুপুর ২টার পর সাদা ভাত, মুরগি, সবজি, ডাল দিয়ে আমি খেয়ে নিই। বাঙালি খাবার খুব পছন্দ আমার।   

পড়শির বিকেল

ভাইয়া ও আম্মুর সঙ্গে গল্প করে আমার সময় কেটে যায়। ভাইয়া আমার অনেক ভালো বন্ধু। বিকেলে আম্মু ডিম দিয়ে একটা পিঠা তৈরি করে, সেটা খেতে অনেক পছন্দ করি। মাঝে মাঝে আম্মুকে কাজে সাহায্য করি। আর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত আমার প্রিয় পোষা ডগিদের নিয়ে পুরো সময় আমি কাটাই। বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে কখনো ঘোরাফেরা করা হয় না আমার।  

পড়শির রাত

আমি বেশি রাত করে ঘুমাতে যাই না। যত দ্রুত সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝে মাঝে রাতের খাবার পরিবারের সঙ্গে বাইরে খেতে যাই। আর বাসায় থাকলেও সাধারণত রাতের খাবারে চীনা ও ভারতীয় খাবার খেতে ভালো লাগে আমার।