সোনার অলংকার কেনায় এখন থেকে ক্রেতাদের গুনতে হবে ৫ শতাংশ ভ্যাট। পাশাপাশি সোনার অলংকার তৈরিতে গুণতে হবে ৬ শতাংশ মজুরি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়লার্স সমিতি (বাজুস)। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বাজুসের ময়মনসিং জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় এসব কথা জানান বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। 

ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইতালিসহ বিশ্বের অনেক দেশে সোনার অলংকার বিক্রিতে ৬ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত মজুরি গুণতে হচ্ছে জানিয়ে দিলীপ কুমার রায় বলেন, অন্যান্য দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশেও ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সোনার অলংকার বিক্রির সময় সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। তাই এই মজুরি ও ভ্যাট প্রদানের জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানাই। 

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের স্মার্ট জুয়েলারি শিল্পের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে মন্তব্য করেন দিলীপ কুমার রায়। 

মতবিনিময় সভায় বাজুসের সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বাজুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরে জুয়েলারি শিল্পের বিপ্লব ঘটেছে। বাজুস এখন একটা ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে। বাজুস প্রেসিডেন্ট এর নেতৃত্বে বাজুস এগিয়ে যাবে বহুদূর। 

বাজুস ময়নসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এম এ কবির এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পবিত্র চন্দ্র ঘোষ ও মো. শামছুল হক ভূঁইয়া। দেশের ঐতিহ্যবাহী সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাজুসের ধারাবাহিক সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনাতেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, বাজুসের সদস্য হয়ে অসাধু উপায়ে জুয়েলারি ব্যবসা করা যাবে না। জুয়েলারি ব্যবসা করতে হলে মানতে হবে বাজুসের নিয়ম কানুন। বাজুসের বেধে দেওয়া মূল্যের বাইরে গিয়ে বিক্রি করতে পারবে না সোনা।