দাম বেড়েছে সবজি, মাছ-মাংসের
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সবজি, মাছ ও মাংস। আর এতে জনমনে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শনিরআখড়া, মিরপুর,যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। শিমের কেজি ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ ৮০ টাকা এবং বড় আকারের লাউ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও মুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ক্ষিরা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকি প্রতি মুঠো ২০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ৬০ টাকা, সাধারণ শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আর বিচিওয়ালা লাল শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, লাল আলু প্রতি কেজি ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ও ব্রুকলি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বড় আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা। রসুন ও আদা ২০০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অপরদিকে সরকার নির্ধারিত গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকা হলেও বাজারে দাম বাড়িয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে, প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি কক ও লেয়ার ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং মাছ আকারভেদে প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা, রুই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, ছোট টেংরা মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও শোল মাছ প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মুদি বাজারে দেখা গেছে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে চার টাকা বাড়িয়ে ১৭৩ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৬৯ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৮২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৪৫ টাকা করা হয়েছে।
প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম ১০ টাকা এবং চিনির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটের আটার দাম এখন ৬৫ টাকা। ময়দার দাম বেড়েছে হয়েছে কেজিপ্রতি ৮০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। কিন্তু মূল্যতালিকায় লেখা ছিল ১৪৮ টাকা।
কারওয়ান বাজারে আসা লোকমান হোসেন নামের এক ক্রেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নতুন বছরে অফিসের বেতন না বাড়লেও বাসা ভাড়া ও বাজারের খরচ ঠিকই বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবস্থা খুবই খারাপ। চাহিদামতো খাওয়া-দাওয়া আগেই ছেড়ে দিয়েছি, এখন আবার নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। নতুন সরকার যদি সচেষ্ট ও আন্তরিক থাকে, তাহলে হয়তো দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। সরকারের কাছে এটাই আমার আকুল নিবেদন, যেন সব পণ্যের দাম কমে যায়।’