এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বিডিথাইয়ের শেয়ারদর
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের (বিডিথাই) শেয়ারের দাম গত এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। রাইট শেয়ারের রেকর্ড ডেটের পর দর সমন্বয় হলে গতকাল রোববার ডিএসইতে এর দাম ২৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৩ টাকা ৬০ পয়সা।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৯ টাকা ৪০ পয়সা কমে সর্বশেষ ২৩ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়। আগের দিন এর দাম ছিল ৩৩ টাকা। গত এক বছরের মধ্যে এর সর্বনিম্ন দাম ২৩ টাকা ৬০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা ১০ পয়সা।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, অভিহিত মূল্যে রাইট শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সংগ্রহ করবে বিডি থাই কর্তৃপক্ষ। একটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে একটি হারে মোট পাঁচ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি শেয়ার ইস্যু করবে কোম্পানিটি। ১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাইট শেয়ারের চাঁদা সংগ্রহ করা হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৭৮তম সভায় বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের রাইট শেয়ার ইস্যুর প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাইটের টাকায় বিডি থাই কর্তৃপক্ষ তাদের উৎপাদনসক্ষমতা বাড়াবে। পাশাপাশি কোম্পানির বর্তমান ঋণ পরিশোধেও এ অর্থের কিছুটা ব্যয় করা হবে। বিডি থাই অ্যালুমিনিয়ামের রাইট শেয়ারের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটিজেন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
গত বছর শেয়ারহোল্ডারদের বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) প্রিমিয়াম ছাড়া বিদ্যমান প্রতি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত অনুমোদন নেয় কোম্পানিটি। এর আগে ১৫ টাকা প্রিমিয়ামে একই হারে রাইট শেয়ার ছাড়ার প্রস্তাব দিয়ে তা থেকে সরে আসে কোম্পানিটির পর্ষদ।
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৪০ পয়সা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এর শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৪৮ টাকা ৮১ পয়সা।
অর্থ আইন পরিপালনে ৩১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ জুন হিসাব বছর শেষ করছে কোম্পানিটি। ২০১৪ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তখন এর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে বর্তমানে ৩০ দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১১ দশমিক ৮২ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ২ বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বাকি ৫৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।