কম্পিউটারের আমদানি শুল্ক পুনর্বহালের দাবি

কম্পিউটার ও কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্ক পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি আলী আশফাক বলেন, ‘আগামী অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রস্তাবিত বাজেটে কম্পিউটার ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ আমদানি শুল্ক দুই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আইসিটি পণ্য আমদানিতে সরকারের অগ্রাধিকার খাতের গুরুত্বকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
আলী আশফাক বলেন, ‘কম্পিউটারের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ডিজিটাল ক্লাস রুম, ল্যাব, ই-সেবা কেন্দ্র, ডাটা সেন্টার গড়ে তোলা প্রভৃতি ক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নে ব্যয় অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে।’ এ সময় তিনি আমদানি শুল্ক পূর্বের মতো দুই শতাংশ বহাল রাখার জোর দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আলী আশফাক বলেন, ‘বিদায়ী অর্থবছরেও ২২ ইঞ্চি পর্যন্ত কম্পিউটার মনিটর আমদানি শুল্ক সুবিধা পায়। কিন্তু বর্তমান প্রস্তাবিত বাজেটে এই সুবিধা কমিয়ে ২২ ইঞ্চির জায়গায় ১৯ ইঞ্চি করা হয়েছে। তবে বর্তমান বিশ্বে ২২ ইঞ্চি বা তার নিচের আকারের মনিটর কোনো খ্যাতিমান প্রস্তুতকারক উৎপাদন করে না। তাই মনিটরের আকার ১৯ ইঞ্চিতে রাখা ঠিক হয়নি।’ এই আকার ২২ ইঞ্চি থেকে বৃদ্ধি করে ২৮ ইঞ্চি নির্ধারণ করারও দাবি জানানো হয়।
অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের আমদানি শুল্ক ০ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়ে বিসিএস নেতারা বলেন, ‘অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করায় আমরা আশাহত হয়েছি।’ কম্পিউটার যন্ত্রাংশের ওপর থেকে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করা মেধা ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, তা অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিসিএস নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের মাইলফলক স্পর্শ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সহসভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, পরিচালক এ টি শফিক উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।