বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) গত সাত বছরে ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩৭টি দেশীয় ও বহুজাতিক টেস্টিং, ক্যালিব্রেশন; ১টি মেডিকেল ল্যাবরেটরি ও ২টি সনদপ্রদানকারী সংস্থা আছে।  

আজ বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএবির মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ। বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০১৬ ও সাত বছরে বিএবির অর্জন তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। 

বিএবির মহাপরিচালক বলেন, টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরির জন্য ২০১৫ সাল থেকে এশিয়া প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন করপোরেশন (এপিএলএসি) ও ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন করপোরেশনের (আইএলএসি) মিউচুয়াল রিকগনিশন অ্যারেঞ্জমেন্ট (এমআরএ) অর্জন করেছে।  

আবু আবদুল্লাহ বলেন, ‘সরকারের বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিএবি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা প্রতিবারের মতো এবারো নানা আয়োজনের মধ্যে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস পালন করতে যাচ্ছি। এ বছরের দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে অ্যাক্রেডিটেশন : সরকারি নীতি নির্ধারণে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ব্যবস্থা।’  

‘বয়লার কারখানা পরিদর্শন, গ্যাস সিলিন্ডার টেস্টিং ও মেডিকেল ল্যাবের ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন সেবা সম্প্রাসারণের মাধ্যমে ভোক্তার আস্থা অর্জন সম্ভব। পণ্য ও পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সনদ প্রদানের মাধ্যমে সেবা খাতের দক্ষতা বাড়ানো আমাদের মূল লক্ষ্য।’

আবদুল্লাহ জানান, ‘বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসকে ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিএবি ও ডিসিসিআইর যৌথ উদ্যোগে ২০১৪ ও ১৫ সালের ৯ জুন বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন করা হয়। এবারো দিবসটি উদযাপন করবে তারা।’