সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তা অ্যালায়েন্স হোল্ডিং লিমিটেড ১৫ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। এ উদ্যোক্তার কাছে প্রতিষ্ঠানটির মোট তিন কোটি ৯৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯২টি শেয়ার রয়েছে। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এসব শেয়ার বাজার দামে বিক্রি হবে। আজ বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এর আগে অ্যালায়েন্স হোল্ডিং লিমিটেড ও সামিট ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড মার্কেন্টাইল করপোরেশন যথাক্রমে সাত লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ ও আট লাখ ৮৫ হাজার শেয়ার বিক্রি করেছে। এ-সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন ৫ মার্চ ডিএসইতে প্রকাশিত হয়েছে। 

সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট কোম্পানি সত্তায় (এনটিটি রেটিং) ‘এ১’ হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছে। কোম্পানিটির ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অব বাংলাদেশ।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে। এ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) ৪২ টাকা ২৯ পয়সা। কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ১৪ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রমনা ইস্কার্টন গার্ডেন রোডে পুলিশ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৩ সালের জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এ হিসাব বছরে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইপিএস ৮৮ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি এনএভি ২৮ টাকা ২৫ পয়সা।

গত এক মাসের মধ্যে এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ৫৪ টাকা ৭০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা। আজ এর দামে নিম্নগামী প্রবণতা রয়েছে। সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদন ও বাজার দামের ভিত্তিতে এ শেয়ারের দাম-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ৭৬ দশমিক ২২।

২০০৮ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১৬৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২৯৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। বাজারে এর মোট শেয়ারসংখ্যা ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২টি, যার মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৬৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ৯ দশমিক ২২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।