বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজ রসুন আদার দাম
প্রতিবছর কোরবানির ঈদে চাহিদা বাড়ে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। আর প্রতিবছরই এ সময়ে এগুলোর দামও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
দেখা যায়, প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা দাম বেড়ে, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। অন্যদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিও এখন ৪০ টাকা।
এদিকে, কেজিতে ১০ টাকা দাম বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে। আর দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজিতে ১৫ টাকা দাম বেড়ে আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। এক নারী ক্রেতা বলেন, ‘পেঁয়াজ কিনলাম। তার পরে রসুন। কিন্তু পেঁয়াজের দাম তো তুলনামূলক বেশি। দেশি পেঁয়াজ হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।’
আরেক ক্রেতা বলেন, ‘সবকিছুর দামই কোরবানি উপলক্ষে বাড়ে। এটা আমাদের দেশের মধ্যে একটা ইয়া, যেকোনো ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষে সবকিছুর দাম ব্যবসায়ীরা বাড়ায়া দেয়।’
একজন বিক্রেতার কাছে এই দাম বাড়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজারটায় মজুদদার যারা, তারাই সম্ভবত এই কাজটা করে। আদা, রসুন স্বাভাবিক, কোরবানি আইলে তো স্বাভাবিক। এটা ঐতিহ্য। কিছু তো বাড়তেই হয়। এইভাবে বাড়ে আর কী।’
একজন আদা বিক্রেতা বলেন, ‘চায়নাডা মনে করেন, আগে বেচছি ৭০ টাকা, ৮০ টাকা। এখন ১২০ টাকা বেচি। ৯৫/৯০ টাকা কেনা।’
তবে পণ্যগুলোর দাম পাইকারি বাজারেই বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা।
এদিকে, আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ছাড়া বাজারে জিরা, দারুচিনি এবং এলাচসহ অন্য মসলাগুলোর দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
মসলা কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, ‘কোরবানি ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে হয়তো দাম বেড়ে যায়। এ জন্য আমরা সস্তা দামে এখন মোটামুটি কিনতেছি। সহনীয় পর্যায়ে আছে।’ ঈদের আগে এসব মসলার দাম খুব একটা বাড়বে না বলেও বিক্রেতারা জানান।