সারা দেশে সোনা ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ডাক
সোনা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করার অভিযোগ এনে এবং সোনা আমদানিতে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।
আজ বৃহস্পতিবার বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকে কোনো নোটিশ ছাড়াই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমিন জুয়েলার্সে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজারকে আটক করে। এ ঘটনায় সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, যত দিন পর্যন্ত সোনা ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ এবং জুয়েলারি শিল্পের জন্য একটি ব্যবসাবান্ধব সোনা আমদানি নীতিমালা তৈরি না হবে তত দিন পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি দোকান বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত রোববার ও সোমবার আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। তারা সেখান থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম হীরা (ডায়মন্ড) জব্দ করে। তারা এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
গতকাল বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ, গোলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ‘আমরা আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখা থেকে সাড়ে ১৩ মণ স্বর্ণালংকার ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড জব্দ করেছি। এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই জুয়েলার্সের মালিকরা।’
মইনুল খান আরো বলেন, ‘ওই জুয়েলার্সের মালিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান কাগজবিহীন এসব স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু আছে গ্রাহকের। যার পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ কেজি হতে পারে। তাঁরা আজ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাঁরা সময় চেয়েছেন। আমরা আগামী ২৩ মে সকাল ১১টা পর্যন্ত সময় দিয়েছি। ওইদিন সশরীরে এসে কাগজপত্র নিয়ে হাজির হতে হবে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে কোনো অবৈধ জিনিসপত্র নেই। সব বৈধ জিনিস।’ তিনি আরো বলেন,‘তাৎক্ষণিকভাবে কেউ কখনো কাগজপত্র দেখাতে পারে? আমরা কাগজ দেখাব। আমাদের উকিল আছে। আমরা সব নোট করব। আমরা ভ্যাট দেই, ট্যাক্স দেই।’
দিলদার আরো বলেন, ‘দেশে এখন রিসাইকেলিং করেই স্বর্ণের ব্যবসা চলছে। আমি যেভাবে ব্যবসা করি সারা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা সেভাবে ব্যবসা করে। যদি আমার দোকান বন্ধ করা হয় তাহলে সারা বাংলাদেশের ব্যবসা বন্ধ করা উচিত।’
গত ৬ মে বনানী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলার প্রধান আসামি দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।