বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমানো ও সপ্তাহে ছয় দিন কাজের নিশ্চয়তাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বিড়ি শ্রমিকরা।

আজ মঙ্গলবার পাবনা ও ময়মনসিংহে পৃথক মানববন্ধনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে শ্রমিকরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবেনৱ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিড়ি শ্রমিকরা।

পাবনা অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরির সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. হারিক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম ইসলাম প্রমুখ। মানববন্ধনে শতাধিক বিড়ি শ্রমিক ও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।

ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান সুমন, সাধারণ সম্পাদক মো. হাফিজুর রহমান, কার্যকরী সদস্য মো. রবিন মিয়া প্রমুখ। মানববন্ধনে শতাধিক বিড়ি শ্রমিক ও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিল।

পাবনায় শুল্ক কমানোসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক ২০২০-২১ অর্থ বছরে কমাতে হবে। বিড়ি শ্রমিকদের সপ্তাহে ছয় দিন কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি কোম্পানির সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। ভারতের মতো বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. হারিক হোসেন বলেন, ‘বিড়ি শিল্পের সঙ্গে লাখ লাখ শ্রমিক জড়িত। সমাজের অসহায় মানুষ বিড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। করোনাভাইরাসের কারণে তাঁরা কর্মহীন। সরকারিভাবেও এসব শ্রমিকরা সাহায্য-সহযোগিতা পাচ্ছে না। ফলে বিড়ি শ্রমিকরা অনেক কষ্টে জীবন-যাপন করছে। এ অবস্থায় আমাদের দাবি মানতে হবে। এ ছাড়া সাম্প্রতি সুশীল সমাজ নামে যাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধের জন্য দাবি জানিয়েছেন তারা আমাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুক। তা না হলে চিঠি প্রত্যাহার করুন।’