চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এবং রমজান মাসে বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিকাশে রেমিটেন্স পাঠানো স্বস্তিদায়ক করতে সরকারি দুই শতাংশ প্রণোদনার সঙ্গে আরও শতাংশ ক্যাশ বোনাস দিচ্ছে বিকাশ।

বিশ্বের ৯৩টি দেশ থেকে অনলাইন বা ওয়ালেট ট্রান্সফারের মাধ্যমে ৫০টির বেশি মানি ট্রান্সফার সংস্থা হয়ে দেশের ১০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ কোটি ২০ লাখ বিকাশ অ্যাকাউন্টে নিরাপদে রেমিটেন্স পাঠানোর সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসীরা। এসব সুবিধার কারণে বিকাশে ২০২০ সালে প্রায় এক হাজার ১৬০ কোটি টাকা সমপরিমানের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

করোনার এই সময়ে ঘরে বসে সহজেই রেমিটেন্স গ্রহণসহ সরকারি দুই শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি বিকাশের আরও এক শতাংশ ক্যাশ বোনাস প্রবাসী ও তাদের স্বজনদের জন্য বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে।

১০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি যেকোনো পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠানোর জন্য এই অফারটি প্রযোজ্য হবে। অফারটি  চলবে ৩১ মে ২০২১ পর্যন্ত।

একজন গ্রাহক অফার চলার সময়ে মাসে দুইবার করে দুই মাসে মোট চারবার এবং মাসে এক হাজার ২০০ টাকা করে দুই মাসে সর্বোচ্চ দুই ৪০০ টাকা বোনাস উপভোগ করতে পারবেন। সরকারি প্রণোদনা ও বিকাশ বোনাসসহ একটি বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রতিদিন এক লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে সর্বোচ্চ চার লাখ ৫০ হাজার টাকা রেমিটেন্স হিসেবে পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।

কোথাও না গিয়ে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে অনলাইন বা ইন্টারনেট অথবা মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে মুহূর্তেই প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিটেন্স পাঠানোর এই সেবাটি এরইমধ্যে প্রবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি করোনার এই সময়ে তাদের নিরাপদে থাকতেও সাহায্য করছে।

পাশাপাশি, দেশে প্রিয়জনেরা মহামারির এই সময়ে অর্থ এবং সময় ব্যয় করে ব্যাংকে গিয়ে রেমিটেন্স তোলার পরিবর্তে বাড়ির কাছের এজেন্টের কাছ থেকে যেকোনো সময় ক্যাশ আউট করতে পারছেন। পাশাপশি, ঘরে থেকেই বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই বিভিন্ন ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা হাসপাতালের খরচ পরিশোধ, কেনাকাটা করাসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন গ্রাহক। এসব সুবিধার কারণে দেশে থাকা প্রিয়জনরাও ব্যাংকিং চ্যানেল হয়ে বিকাশে রেমিটেন্স গ্রহণকে সহজ, ঝামেলামুক্ত ও সবচেয়ে নিরাপদ মনে করছেন।