উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের দ্বার উন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

শনিবার উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) আয়োজনে বায়ার সেলার মিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উইয়ের গ্লোবাল অ্যাডভাইজার ও সিল্কক গ্লোবালের সিইও সৌম্য বসু, উইয়ের উপদেষ্টা জাহানুর কবির সাকিব, উইয়ের ডিরেক্টর শেখ লিমা এবং উই প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনায়েদ আহমেদ পলক আরও বলেন, ‘উইয়ের বিএসএমের মতো উদ্যোগগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আসবে ভবিষ্যতে, উইয়ের সদস্যদের জন্য টেকনোলজি, ট্রেনিং, ট্রেড লাইসেন্স, ট্রানজেকশন এবং সবাইকে এক করে কাজ করাটা ভীষণ জরুরি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত যাতে ব্যবহার করতে পারে উইয়ের সদস্যরা, সেটা নিয়ে কাজ চলছে। দেশে ৫৫০টি ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার হতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে উই উদ্যোক্তারা সহজে কাজ করতে পারবেন। ৬৪টি জেলায় আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, একশপ /একপে-এর মাধ্যমে উইয়ের সদস্যরা ব্যবসা করতে পারবেন।’

প্রতিমন্ত্রী পলক এ সময় উইয়ের মাধ্যমে লজিস্টিকস সেবা চালুর ঘোষণা ও সহজতর করা সম্পর্কে জানান। তিনি জানান, উইয়ের মাধ্যমে দুই হাজার উদ্যোক্তাকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা করে। উইয়ের কাছ থেকে ১০০ জনের তালিকা নেওয়া হবে, যাদের ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মাত্র চার শতাংশ সুদে বিশেষ বিনিয়োগ করবে আইটি ডিভিশন।

এসব ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত উই প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, আমাদের জন্য এতগুলো সুযোগ সৃষ্টি করাতে। পলক ভাই আমাদের অভিভাবক হিসেবে যেভাবে উইকে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন প্রথম থেকে, এটা আমাদের জন্য বড় আনন্দের এক খবর। আমি ভীষণ আনন্দিত। ভবিষ্যতেও বিএসএমের মতো আয়োজন করব।’