প্রকৃতি রক্ষার গল্প বলে ‘মধু শিকারি’
সুন্দরবনের ছোট্ট ছেলে শনু মধু খুব পছন্দ করে। একবার সাইক্লোনে তছনছ হয়ে গেল সুন্দরবন। ঝড় গেলে আসে দুর্ভিক্ষ। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমনটা শুরু হয় সুন্দরবনে। ক্ষুধায় কাতর শনু; মৌসুম নয়, তার পরও মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে সে। শনু তখনো বুঝতে পারেনি, এটি তার জন্য কত বড় বিপদ বয়ে আনতে পারে। বনের রাজা ক্ষুব্ধ হয়, বনবিবিও ক্রুদ্ধ হয়। ফলে শনুকে পোহাতে হয় অনেক কষ্ট। রূপকথার মোড়কে লেখা ‘মধু শিকারি’ শীর্ষক অনুবাদ গ্রন্থে এমন গল্পই আসলে বলা হয়েছে, প্রকৃতির ছন্দে ব্যাঘাত ঘটালে কত সমস্যা হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড ইউপিএলের উদ্যোগে কার্তিক নারায়ণের লেখা বইটির অনুবাদ করেছেন শামীম আজাদ। গত ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সোফি অবের।
গল্পটি ছোটদের প্রকৃতিকে বুঝতে ও সম্মান করতে শেখাবে। অলংকরণ শিল্পী জোয়েল জোলিভে গল্পের বর্ণনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারুণ সব ছবি এঁকেছেন বইতে।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানের পরপরই ‘মধু শিকারি’ নামে একটি পালা মঞ্চস্থ করে বটতলা থিয়েটার গ্রুপ। কথক আর দোহারদের সুরে সুরে উঠে আসে সুন্দরবন রক্ষার আকুল আকুতি।