ছুটির দিনে
নাটারামের মুগ্ধতা

গ্রামের নাম নাটারাম।রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের এক প্রত্যন্ত গ্রাম। সেখানে গেলে প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য আপনাকে এতটাই মুগ্ধ করবে যে, শহরের শত ক্লান্তি যেন নিমেষেই শেষ হয়ে মনের ভেতর এক স্বর্গীয় অনুভূতি জাগ্রত হবে। গ্রামখানা যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব রঙ্গশালা। যেদিকে তাকাবেন- অবারিত সবুজ মাঠ, ফুলেফলে ভরা গাছপালা, তৃণ গুল্মশোভিত বন-বনানী ও শ্যামল শস্যেক্ষেত- এই অনুপম রূপসুধা পান করে আপনার হৃদয়ে এক অভিনব আনন্দের শিহরণ জেগে উঠবে। দিন ও রাতের গ্রামে দেখা মেলে ভিন্ন রূপ। চাঁদের আলোয় রাতের বাঁশঝাড় ও গাছপালাগুলো অদ্ভুত সুন্দর। সুন্দর বাতাস। দিনের বেলা কৃষকরা মাঠে কাজ করছে। মাঠের যে দিকে তাকাই সবুজের সমারোহ। প্রকৃতি যেন অপূর্ব সাজে সজ্জিত হয়ে আছে। প্রকৃতি যেন শ্যামলের সিংহাসন করে বসে আছে- এক এক জায়গায় এক এক রূপ-বৈচিত্র্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গ্রামটি। গ্রামের সরু রাস্তার দুই ধারে ইউক্লিপটাস গাছ মাথা উঁচু করে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হয় যেন এরা এখানকার চিরন্তন প্রহরী।পথিকদের স্বাগত জানাচ্ছে। কোথাও তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে আকাশ থেকে নীলিমা ছিনিয়ে আনার জন্য ওপর দিকে হাত বাড়িয়েই চলছে।
গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনাশ্বরী নদী রাতদিন গ্রামটির পা ধুয়ে দিচ্ছে, নদীটি তার কটিদেশ ও গলায় মেঘলা ও চন্দ্রহারের মতো শোভা পাচ্ছে, মাঠের শ্যামলিমা তাকে শাড়ির মতো ঘিরে রেখেছে এবং সবুজ বনরাজি তার শিড়ে মুকুট পরিয়ে দিয়ে রানির সাজে সাজিয়েছে। যেভাবে যাবেন
বাস বা ট্রেনে যেকোনোভাবেই আপনি গ্রামটিতে যেতে পারবেন। রাজশাহী ও ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে প্রথমে যেতে হবে রংপুর। সেখান থেকে বাস বা অটোরিকশায় আপনাকে যেতে হবে বদরগঞ্জ অথবা পদাগঞ্জে। সেখান থেকে ছয় কিলোমিটার ভ্যানে করে আপনাকে যেতে হবে গ্রামটিতে। এ ছাড়া ট্রেনে আপনি প্রথমে যেতে পারেন পার্বতীপুর। সেখান থেকে আপনাকে বাস বা অটো রিকশায় যেতে হবে বদরগঞ্জ। বদরগঞ্জ থেকে অটোরিকশা বা ভ্যানে ছয় কিলোমিটার পূর্ব দিকে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন নাটারাম গ্রামে।